নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনার কারণে প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেপ্টেম্বরে খুলে দিতে চায় সরকার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি হিসেবে এ পর্যন্ত প্রাথমিক স্তরের ৮৪ শতাংশ শিক্ষক-কর্মচারীর টিকাদান শেষ হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে প্রাথমিকে ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৮৮৩ জন শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত। এর মধ্যে ২০ আগস্ট পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন ৩ লাখ ৩ হাজার ৩১৯ জন। ডিপিই তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের (আইএমডি) তথ্য অনুযায়ী, এখনও টিকা নেওয়ার বাইরে আছেন ৬২ হাজার ৫৬৪ জন। তাদের মধ্যে অনেকেই নারী শিক্ষক। তাদের অধিকাংশই গর্ভবতী, বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করাচ্ছেন বা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়েছেন এবং নিবন্ধন করেছেন কিন্তু এখনও টিকা দেওয়ার তারিখ পাননি। যারা এখনও বাকি আছেন তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে টিকা নিতে পারবেন। এ বিষয়ে ডিপিই’র মহাপরিচালক এ এম মনসুর আলম বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগে সব শিক্ষকের টিকাদান নিশ্চিত করা হবে। এ কারণে সবাইকে বাধ্যতামূলক টিকা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকের প্রায় সবার টিকা নেওয়া শেষ। যারা শারীরিক নানা ধরনের সমস্যায় রয়েছেন, তারা এখনও টিকা নিতে পারেননি। এর আগে গত ২৮ জুলাই প্রাথমিক শিক্ষাসংশ্লিষ্ট সবাইকে ১১ আগস্টের মধ্যে করোনার টিকা নেওয়ার নির্দেশ দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। বিভাগীয় উপরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা ও থানা শিক্ষা অফিসার, সব পিটিআইয়ের সুপারিনটেনডেন্ট, উপজেলা ও থানা রিসোর্স সেন্টারকে তথ্য পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এর আগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, আমাদের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার চিন্তা রয়েছে। সেজন্য শিক্ষক-কর্মচারীদের টিকা দেওয়া শেষ পর্যায়ে। চলতি মাসের মধ্যে এ কার্যক্রম শেষ করা হবে। সংশ্লিষ্টরা আরও জানিয়েছেন, সারাদেশে প্রাথমিক স্কুলে কর্মরত মোট ১ হাজার ৮৫৭ শিক্ষক-কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ১ হাজার ৩৮৩ জন সুস্থ হলেও ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম