May 20, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, May 8th, 2024, 8:19 pm

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ : ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে সাফল্য নেই কোন দলের

অনলাইন ডেস্ক :

খেলাধুলায় বিশেষ করে ক্রিকেটে ‘হোম গ্রাউন্ড অ্যাডভানেটজ’ কথাটি খুবই প্রচলিত। সহজ কথায়, ঘরের মাঠের সুবিধা কাজে লাগিয়ে সর্বোচ্চ সাফল্য তুলে নেওয়া। কিন্তু এই প্রচলিত ধারণাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ঘরের মাঠ হয়ে উঠেছে ‘ঘরের শত্রু বিভীষণ’। এই ফরম্যাটে কোনো বিশ্বকাপ আয়োজক দেশই আজ পর্যন্ত নাগাল পায়নি শিরোপার। শুধু এখানেই শেষ নয়। দু-দুবারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড ঘরের মাঠে উঠতে পারেনি ফাইনালেও। ক্রিকেটের দুই পরাক্রমশালী অস্ট্রেলিয়া ও ভারত ঘরের উঠোনে ঝরে গেছে ফাইনালের আগেই। ক্রিকেটের ছোট সংস্করণের এই বিশ্বকাপের প্রথম আয়োজক দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা।

২০০৭ সালের ওই আসরে সেমিফাইনালে পৌঁছতে পারেনি স্বাগতিক প্রোটিয়ারা। তাদের বিদায় ঘণ্টা বাজে সুপার এইট পর্ব থেকেই। শেষ চারের টিকিট পায় ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। পরের আসর অর্থাৎ ২০০৯ সালের টুর্নামেন্টে শেষ চারে জায়গা করে নিতে পারেনি স্বাগতিক ইংল্যান্ড। স্বাগতিকদের পেছনে ফেলে সেমির মঞ্চে উঠে আসে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বলাবাহুল্য, প্রথম দুটি আসরের চ্যাম্পিয়ন যথাক্রমে ভারত ও পাকিস্তান। তৃতীয় আসরে আয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজ পা রাখতে পারেনি সেমির মঞ্চেই। ২০১০ সালের এই টুর্নামেন্টে ক্যারিবীয়রা বিদায় নেয় সুপার এইট পর্বেই।

ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে প্রথম কোনো বৈশ্বিক আসরে শিরোপা জেতে ইংল্যান্ড। ২০১২ সালে স্বাগতিক দেশ হিসেবে প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠার কৃতিত্ব দেখায় শ্রীলঙ্কা। কিন্তু শিরোপার স্পর্শ পায়নি কুমারা সাঙ্গাকারা, মাহেলা জয়াবর্ধনে, তিলকরতেœ দিলশান, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ, অজন্তা মেন্ডিস, ল্যাসিথ মালিঙ্গার মতো তারকা ঠাসা লঙ্কানরা। স্বাগতিকদের হারিয়ে শিরোপা উৎসব করে ক্যারিবীয়রা। পঞ্চম অর্থাৎ ২০১৪ সালের টুর্নামেন্টটি স্বাগতিক বাংলাদেশের জন্য এক দুঃস্বপ্নের নাম। বাছাইপর্বে হংকংয়ের কাছে দুই উইকেটের ব্যবধানে হারের লজ্জায় ডোবে টাইগাররা। তবে মূল পর্বে জায়গা করে নিতে সমর্থ হয় বাংলাদেশ। আর মূল পর্বে চার ম্যাচেই বড় হারের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ে টাইগাররা। ঘরের মাঠে ভারত সব সময়ই বাঘ। কিন্তু ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বিড়াল বনে যায় স্বাগতিক ভারতও।

সেমির লড়াইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ৭ উইকেটের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভারত। পরের আসর ২০২১ সালে যৌথ আয়োজক ক্রিকেটের পিছিয়ে থাকা জনপদ আরব আমিরাত ও ওমান। আর তাই এখানে হোম গ্রাউন্ড বিষয়টা প্রযোজ্য নয়। কেননা মূল পর্বেই জায়গা হয়নি তাদের। সর্বশেষ ২০২২ সালের আসরে ঘরের দর্শকদের সামনে হতাশায় ডোবে অস্ট্রেলিয়া। পৌঁছাতে পারেনি সেমিফাইনালেই। অজি দর্শকদের জ¦লুনি বাড়িয়ে ক্রিকেটের তীর্থস্থান মেলবোর্ন মাঠে শিরোপা উৎসব করে ইংলিশরা। ক্রীড়াঙ্গনে সব টুর্নামেন্টে ঘরের মাঠ বড় প্রেরণা হলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজকদের জন্য হয়ে উঠেছে এক সাক্ষাৎ মৃত্যুফাঁদ। তাই এবার বড় চ্যালেঞ্জ জোড়া শিরোপাধারী ক্যারিবীয়দের।