অনলাইন ডেস্ক :
আগের দিনই টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ভারত শুরুটা করেছিল ঝড়ের গতিতে। ভারতের দুই ওপেনার অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও শুবমান গিল মাত্র ১৬.৪ ওভারেই তুলে ফেলেন ১২১ রান। সেখান থেকে ২৪.১ ওভারে ভারত ১৪৭ রান করতেই বৃষ্টিতে ভেসে যায় দিনের খেলা। ম্যাচ গড়ায় রিজার্ভ ডেতে। তবে গত সোমবার রিজার্ভ ডেতে ভারতের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি ও লুকেশ রাহুল রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে পাকিস্তানি বোলারদের নিয়ে। হারিস রউফ চোট পাওয়ায় গত সোমবার আর মাঠেই নামতে পারেননি। তার এশিয়া কাপই শেষ হয়ে গেছে। তার অবর্তমানে বাকি যারা বল করেছেন, তাদের সবাইকে হতাশ করেছেন কোহলি-লুকেশ। পাক বোলারদের পাড়ার বোলার বানিয়ে তারা দুজনেই তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি।
কোহলি পূর্ণ করেছেন ক্যারিয়ারের ৪৭তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। যে সেঞ্চুরির মাধ্যমে কোহলি পেয়েছেন একটা রেকর্ড গড়ার স্বাদও। শচীন টেন্ডুলকারের রেকর্ড ভেঙে কোহলি গড়েছেন ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম ১৩ হাজার রানের নতুন রেকর্ড। ইতিহাসে এর আগে মাত্র ৪ জন ক্রিকেটার ওয়ানডেতে ১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। তারা হলেন টেন্ডুলকার, রিকি পন্টিং, কুমার সাঙ্গাকারা ও সনাত জয়াসুরিয়া। কোহলি বনে গেলেন ১৩ হাজারি ক্লাবের পঞ্চম সদস্য। হতে দ্রুততার দিক থেকে তিনি ছাপিয়ে গেছেন বাকি সবাইকে।
এতদিন এই রেকর্ডটি টেন্ডুলকারের দখলে। তিনি ৩২১ ইনিংসে ১৩ হাজার স্পর্শ করেছিলেন। পন্টিংয়ের লেগেছিল ৩৪২ ইনিংস, সাঙ্গাকারার লেগেছিল ৩৬৩ ইনিংস এবং জয়াসুরিয়া ১৩ হাজার ছুঁয়েছিলেন ৪১৬তম ইনিংসে। সেখানে কোহলি মাত্র ২৬৭ ইনিংসেই ছুঁয়ে ফেললেন ১৩ হাজারের মাইলফলক! ২৭৮ ম্যাচের ২৬৭ ইনিংসেই কোহলির রান হলো ১৩০২৪।
এই সেঞ্চুরির মাধ্যমে কোহলি টেন্ডুলকারের সর্বোচ্চ ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ডেও আরও কাছে চলে গেলেন। আর মাত্র দুটি সেঞ্চুরি হলেই কোহলি ছুঁয়ে ফেলবেন টেন্ডুলকারের ৪৯ ওয়ানডে সেঞ্চুরির রেকর্ড। কোহলির রেকর্ডের দিনে চোট থেকে ফেরা লুকেশ রাহুলও পূর্ণ করেছেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। এদিন কোহলি-লুকেশ সাবলীল ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানি বোলারদের একবারও উইকেট উদযাপন করতে দেননি। দুই ইনিংস শেষ করেছেন। কোহলি অপরাজিত ১২২ ও লুকেশ রাহুল অপরাজিত ১১১ রানের ইনিংস খেলে দলকে পৌঁছে দেন ২ উইকেটে ৩৫৬ রানের ঠিকানায়।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা