অনলাইন ডেস্ক :
দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডে সিরিজ দাপটের সঙ্গে জিতেছিল বাংলাদেশ দল, যেখানে খেলেছিল পুর্ণশক্তির প্রোটিয়া দলই। তবে টেস্ট সিরিজে মোটামুটি খর্বশক্তির দল পেয়েও প্রত্যাশার ছিটেফোটা পূরণ করতে পারেনি মুমিনুল হকের দল। দুই ম্যাচেই বাজেভাবে হেরেছে টাইগাররা। টেস্ট সিরিজ খেলে দেশে ফেরা বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক বিমানবন্দরে মুখোমুখি হন গণমাধ্যমের। সেখানে মুমিনুল হক বলেন প্রত্যাশার পারদ সবার বেশি ছিল। ওয়ানডে ও টেস্টে দলের পার্থক্য মনে করিয়ে দেন তিনি। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জেতার পর তার দল যে এক বা দুই নম্বর দল হয়ে যায়নি সেটাও জানান তিনি। মুমিনুল বলে, ‘এটা আমার অবজার্ভেশন, এমনটা কিন্তু অনেকবারই হয়েছে, বাংলাদেশেও কিন্তু হয়েছে। আপনাদের হয়তো প্রত্যাশাটা একটু বেশি ছিল। অনেকেই মনে করছেন একটা টেস্ট জিতে আমরা হয়তো বিশ্বের এক বা দুই নম্বর দল হয়ে গেছি। ওয়ানডেতে তো আমরা অনেক স্ট্যাবল টিম, টেস্টে না। সেটাও আমাদের বুঝতে হবে। নড়বড়ের কিছুই হয়নি। যেটা বললাম কোন দিকে ঝুঁকি নিয়ে শট, রান করতে হবে সেগুলো বুঝতে হবে।’ টেস্ট ও ওয়ানডে ফরম্যাটের মধ্যে যে বিস্তর ফারাক আছে তা বোঝাতে চাইলেন মুমিনুল হক। তার মতে এই ফরম্যাটে উন্নতির শেষ নেই, ভালো জায়গায় বল করা, সেশন ও পরিস্থিতি অনিযায়ী ব্যাটিং করা এসমস্ত বিষয়ে উন্নতির জায়গা আছে বলে মনে করেন মুমিনুল হক। তিনি বলেন, ‘ওয়ানডে সিরিজ তো প্রত্যাশা অনুযায়ী ছিল। টেস্টে উন্নতির কথা যদি বলেন আগামী দুই বছর বা সারাজীবনই যদি খেলি উন্নতির শেষ নাই। টেস্ট ক্রিকেট ওয়ানডের মতো না। পাঁচ দিনের খেলায় সব বিভাগেই ভালো খেলা গুরুত্বপূর্ণ। ভালো জায়গায় বল করা, সেশন অনুযায়ী ও পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং করা। আমি সবসময় বলি টেস্ট ক্রিকেটে আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে।’
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা