April 19, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, January 26th, 2022, 9:19 pm

টোঙ্গায় খাবার সংকট

Members of the Australian Defence Force embark on HMAS Adelaide at the Port of Brisbane before departure to Tonga, in Brisbane, Australia, January 20, 2022. Australian Department Of Defence/Handout via REUTERS THIS IMAGE HAS BEEN SUPPLIED BY A THIRD PARTY. NO RESALES. NO ARCHIVES

অনলাইন ডেস্ক :
প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপ দেশ টোঙ্গায় আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ ও ভয়াবহ সুনামির পর খাবার সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। আগ্নেয়গিরির উদগিরণে কৃষিজমি ও ফসলের মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে যে খাবার আছে তা এক সপ্তাহও চলবে না বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা। এদিকে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের হিরোশিমায় ফেলা পারমাণবিক বোমার চেয়েও কয়েকশ’ গুণ শক্তিতে টোঙ্গার আগ্নেয়গিতিতে বিস্ফোরণ হয়েছে। সাগরের তলদেশে আগ্নেয়গিরির এ রকম ভয়াবহ বিস্ফোরণ মানুষ আগে কখনো দেখেছে কি না এ নিয়েই চলছে বিশ্লেষণ। স্যাটেলাইটগুলোতেও বিস্ফোরণের শকওয়েভ রেকর্ডের পর এবার মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের হিরোশিমায় যে পারমাণবিক বোমা ফেলা হয়েছিল তার চেয়েও কয়েকশ’ গুণ বেশি শক্তিতে বিস্ফোরণ হয় টোঙ্গার আগ্নেয়গিরিতে। অগ্নুৎপাতের কারণে রাজধানী নুকু’আলোফার একটি আগ্নেয় দ্বীপ বিলীন হয়ে গেছে বলেও জানিয়েছে নাসা। আগ্নেয়গিরির উদগিরণের পর ভয়াবহ সুনামির কবলে পড়ে টোঙ্গাসহ আশপাশের দেশগুলো। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দেশটিতেই। এখনো স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে হিমশিম খাচ্ছে দেশটির বাসিন্দারা। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে দেশটির ৮৪ শতাংশ মানুষ সুনামি এবং আগ্নেয় ছাইয়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আগ্নেয়গিরির উদগিরণে কৃষি জমি ও ফসলের মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।তবে বর্তমানে খাবার সংকট সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। সিডনিতে নিযুক্ত টোঙ্গার কনস্যুল জেনারেল জানিয়েছেন, বর্তমানে তাদের কাছে যে খাবার আছে তা দিয়ে এক সপ্তাহের বেশি চালানো সম্ভব নয়। বিশুদ্ধ খাবার পানিরও চরম সংকট দেখা দিয়েছে। বাতাসে মিশ্রিত ছাই ও ধুলার কারণে বাসিন্দাদের শরীরে চুলকানির মতো উপসগ্র্ দেখা দিচ্ছে। এ ছাড়া ডায়রিয়া ও কলেরার মতো পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিও বাড়ছে। ইন্টারনেট, যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়নি এখনো। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সংকট তো রয়েছেই। অর্থনৈতিকভাবেও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দেশটির বাসিন্দারা। একজন বাসিন্দা বলেন, সুনামির পর ছয়দিন ধরে আমাদের দোকান বন্ধ। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আমাদের। শিশুদের বাইরে যেতে বারণ করা হচ্ছে। চারদিকে আগ্নেয় ছাই। শিশুরা স্কুলে যেতে চাইছে কিন্তু পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। শহরে এত বেশি ধুলো যে মানুষজন বাইরেই বের হতে পারছে না। টোঙ্গার মানুষকে সব ধরনের সহায়তার চেষ্টা করছে প্রতিবেশী দেশগুলো। এগিয়ে এসেছে রেড ক্রসের মতো দাতব্য সংস্থাগুলো।