ট্রান্সকম গ্রুপের তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে বিদেশ থেকে নির্বিঘ্নে ফেরত আসা ও ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে শাযরেহ হকের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
তারা হলেন- ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারপারসন শাহনাজ রহমান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সিমিন রহমান এবং হেড অব স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন জারিফ আইয়াত হোসেন।
এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ট্রান্সকম গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান ও শাহনাজ রহমানের ছোট মেয়ে শাযরেহ হক বাদী হয়ে গুলশান থানায় ৩টি মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মিথ্যা হিসাব দেখিয়ে সিমিন ও তার সহযোগীরা তার বাবা লতিফুর রহমানের প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি অন্যায়ভাবে অর্জনের চেষ্টা করেছিলেন।
শাযরেহ অভিযোগ করেন, মৃত্যুর আগে তার বাবা একাধিক ব্যাংকের এফডিআর বাবদ প্রায় ১০০ কোটি টাকা রেখে গেছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, তার মা শাহনাজ রহমান ও বোন সিমিন রহমান অসমভাবে এফডিআর বিতরণ করেন।
বাকিদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতে সহায়তা করার অভিযোগ রয়েছে।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তার বড় বোন সিমিন রহমান জালিয়াতির মাধ্যমে ট্রান্সকম লিমিটেডের ২৩ হাজার ৬০০ শেয়ার জালিয়াতির মাধ্যমে নিজের নামে নেন এবং তার ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে বঞ্চিত করেন।
ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে দুই পরিচালকসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
তারা হলেন- ট্রান্সকম গ্রুপের করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ল বিভাগের নির্বাহী পরিচালক ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া। কর্পোরেট ফাইন্যান্স বিভাগের দুই পরিচালক কামরুল হাসান ও আবদুল্লাহ আল মামুন; কোম্পানির সহকারী সচিব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক ও ব্যবস্থাপক (কোম্পানি সচিব) আবু ইউসুফ মো. সিদ্দিক।
পরে এসব মামলায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তাদের জামিন দেন আদালত।
তবে মামলা শেষে শাহনাজ, সিমিন ও জারিফ গ্রেপ্তার এড়িয়ে বিদেশে চলে যান।
শাহনাজ, সিমিন ও জারিফকে ৬০ দিনের মধ্যে বিদেশ থেকে ফিরে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
৬০ দিনের মধ্যে ইমিগ্রেশন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হয়রানি বা গ্রেপ্তার না করারও নির্দেশ দেওয়া হয়।
পরে হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন শাযরেহ হক।
রিটকারীর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার তানজিব উল আলম ও ব্যারিস্টার মুস্তাফিজুর রহমান খান। শাহনাজ, সিমিন উদ্দিন ও জারিফের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুহাম্মদ ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, মোমতাজ উদ্দিন ফকির, নুরুল ইসলাম সুজন, মাহবুব আলী, মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ রাজা ও শাহ মঞ্জুরুল হক।
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম