নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঈদুল ফিতরের ষষ্ঠ দিনেও ঢাকায় ফিরেছে মানুষ। রাজধানীর ব্যস্ততম পয়েন্টগুলোতে সকাল থেকে ঢাকামুখী মানুষের চাপ দেখা যাচ্ছে। বিশেষত, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে দেখা যায়, ঢাকামুখী সব ট্রেন নির্ধারিত সময়ে প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করছে। আবার অনেক ট্রেন বিভিন্ন গন্তেব্যের উদ্দেশে সময় মতো ছেড়েও যাচ্ছে। ঈদে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষ পরিবার ও স্বজনদের মায়া কাটিয়ে আবারও ব্যস্ততম নগরীতে ফিরছেন। তাদের চোখেমুখে দেখা গেছে দীর্ঘ ভ্রমণের ক্লান্তির ছাপ। ঈদের ছুটি শেষে গত সোমবার খুলেছে সরকারি অফিস-আদালত।
বেসরকারি নানা প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ এখনো বন্ধ রয়েছে। অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ। এসব কারণে ঈদে গ্রামে ফেরা অনেকেই একটু লম্বা ছুটি কাটিয়ে নগরীতে ফিরছেন। তাদের মধ্যে কেউ একা, কেউ আবার পরিবার-পরিজন নিয়ে ফিরছেন। আবার কেউ কেউ এখনো গ্রামে যাওয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনগুলো কমলাপুরে নির্ধারিত সময়ে পৌঁছাচ্ছে। ঈদের ছুটি কাটিয়ে ট্রেনগুলোতে ফিরছেন হাজারো মানুষ। ট্রেনগুলো প্ল্যাটফর্মে এসে থামার পর বাড়ি থেকে প্রিয়জনদের ছেড়ে ব্যস্ত নগরীতে ফেরার কষ্ট ও ভ্রমণের ক্লান্তির ছাপ দেখা গেছে যাত্রীদের চোখে মুখে।
পঞ্চগড় থেকে আসা এক যাত্রী মাহফুজুর রহমান বলেন, ঈদের ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় ফিরলাম। এই কয়েকদিন বাবা-মা ও পরিবারের সঙ্গে ভালো সময় কাটিয়েছি। সবাইকে ছেড়ে আবারও ঢাকায় ফিরতে হয়েছে, একটু খারাপ লাগছে। পরিবার নিয়ে গ্রামে গিয়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় ফিরেছেন। তিনি বলেন, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করি। ঈদ করতে পরিবার নিয়ে গ্রামে গিয়েছিলাম। বাচ্চাদের স্কুল শুরু হবে আগামী সপ্তাহে। তাই আগেই চলে এলাম। যেন সবাই একটি বিশ্রাম নিতে পারি। কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের যাত্রী রিফাত হোসেন বলেন, গ্রামের বাড়িতে ঈদ করে ঢাকায় ফিরলাম। টিকিট কাটতে কোনো অসুবিধা হয়নি। এবার ভালোই হয়েছে ট্রেনযাত্রা।
ব্যবসার কাজে আবারও ব্যস্ত হয়ে পড়তে হবে আগামীকাল থেকেই। এদিকে ঈদের ষষ্ঠ দিনেও অনেকে বাড়ি যান। ঈদের আগে নানা ব্যস্ততায় বাড়ি যেতে না পারায় ঈদের পড়ে এখন বাড়ি যাচ্ছেন অনেকে। আশরাফুল নামে কাপড়ের দোকানের এক কর্মচারী বলেন, ঈদের দিন পর্যন্ত দোকানদারি করে পরিবারের জন্য কিছু কেনাকাটা ও দরকারি জিনিসপত্র নিতে নিতে দেরি হয়ে গেছে। তাই এখন বাড়ি যাচ্ছি। বাড়ি গিয়ে সবার সঙ্গে দেখা হবে, সময় কাটাবো, এটাই আনন্দ।
সিলেটের উদ্দেশে কমলাপুর স্টেশন ছাড়ার আগে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসের যাত্রী হারুন উদ্দিন মামুন বলেন, ঈদের মৌসুমে এবারের মত সুন্দর ও শান্ত পরিবেশ কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে আগে দেখিনি। একটু নির্বিঘেœ যাতায়াতের জন্য ট্রেনে ভ্রমণ করি। শুধু ঈদ নয়, এমন ঝামেলামুক্ত ট্রেন ভ্রমণ যেন সবসময় থাকে। কমলাপুর স্টেশনের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বলছেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নির্ধারিত সময়ে ফিরেছে ট্রেন। বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়েও যায় সময়মতো। ট্রেনে এবারের ঈদযাত্রা খুবই স্বস্তিদায়ক হয়েছে।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি