April 24, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, April 11th, 2022, 8:27 pm

ঠাকুরগাঁওয়ে হঠাৎ শিলাবৃষ্টি, ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা

ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন স্থানে হঠাৎ ঝড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছে কৃষি বিভাগ। রবিবার বিকালে আনুমানিক ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনের শিলাবৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল, হরিপুর, বালিয়াডাঙ্গী ও পীরগঞ্জ উপজেলায় শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি শিলাবৃষ্টি হয়েছে রাণীশংকৈল উপজেলায়।

রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, রবিবার বিকালে শিলাবৃষ্টিতে উপজেলার নেকমরদ বাজার, গন্ডগ্রাম, যদুয়ার, ভবানীপুর, চন্দনচহট, দুর্লভপুর, পারকুন্ডা, ফরিদপাড়া রাতোরসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘর বাড়ি, ধান,ভূট্টা খেত, আম বাগানসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সদর উপজেলার কয়েকটি স্থানেও শিলাবৃষ্টি হয়েছে, তবে কিছুটা কম।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শিলাবৃষ্টিতে আক্রান্ত উপজেলাগুলোর বিভিন্ন সড়ক, বাড়িঘর, ফসলের মাঠসহ বিভিন্ন জায়গায় শিলা (বরফ খণ্ড) জমে থাকতে দেখা যায়। তাছাড়াও অনেকের ঘরের চালসহ টিনও ফুটা হয়ে গেছে।

রাণীশংকৈল এলাকার পথচারী লোকমান আলী বলেন, সকাল থেকেই আবহাওয়া খারাপ ছিল। বিকাল ৩টার পর থেকে আকাশ কালো হতে থাকে। সাড়ে ৩টার দিকে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যে মানুষজন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

রাণীশংকৈল উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের কৃষক এনামুল মাস্টার বলেন, পাঁচ বিঘা জমিতে ভুট্টা, মরিচ ও ৩০ বিঘা জমিতে ধান আবাদ করেছিলাম। হঠাৎ শিলাবৃষ্টি হওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আধা ঘণ্টা ধরে এই শিলাবৃষ্টি হয়। এবার সর্বোচ্চ পরিমাণ শিলাবৃষ্টি হয়েছে এবং শিলাগুলো অনেক বড় বড় ছিল।

রাণীশংকৈলের বাচোর ইউনিয়নের ফুটানি টাউন গ্রামের কৃষক জয়নাল আবেদীন বলেন, এক একর জমিতে আমের বাগান ছিল। ধান, ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসল ছিল প্রায় ১০ বিঘা জমিতে। শিলাবৃষ্টির কারণে এসব ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

এ বিষয়ে রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, রাণীশংকৈল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আনুমানিক ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনের শিলা পড়তে দেখা গেছে। সবজি, মরিচ, ভুট্টা, ধান, আম, লিচুর ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কার করছি। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখন বলা সম্ভব নয়। মাঠ পর্যায়ে আমাদের কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করছেন।

—ইউএনবি