অনলাইন ডেস্ক :
ঘরের মাঠে সিরিজ খেলতে যখন প্রস্তুতি শুরু করেছে পাকিস্তান, তখন বাংলাদেশের ঘরে নানা সিদ্ধান্তহীনতা। বিশেষ করে প্রধান কোচ ডমিঙ্গোকে নিয়ে আছে ফিসফাস, কানাকানি। ডমিঙ্গোর চুক্তি হয়ে গেলেও তাকে নিয়ে এখনো দুশ্চিন্তা আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) টেবিলে। যারা সিদ্ধান্ত নেন তারা ডমিঙ্গো ইস্যুতে এখন আর বোর্ডে বসে আলোচনা করেন না। মিরপুর হতে ১৪ কিলোমিটার দূরে গিয়ে আলোচনা হয়। সেখান থেকে সবাই আলাদা হয়ে যান। কেউ মুখ খুলবেন না। আবার যারা মুখ খুলেন তারাও যেন আকার-ইঙ্গিতে কিংবা এক শব্দে, ছোট বাক্যে বুঝিয়ে দিতে চেষ্টা করেন। বিতর্কিত কোচ ডমিঙ্গো ইস্যুতে নীতি নির্ধারকরা সরাসরি কিছু বলতে রাজি না। তার একটাই কারণ, ঘরে এখন পাকিস্তান সিরিজ। ঘরে মেহমান থাকা অবস্থায় পেছনের বিষয় নিয়ে কোনো হৈচৈ করা ঠিক হবে না। সামনের কাজগুলো দ্রুত সারতে হবে। যাদের মুখে এমন কথা তাদের ইশারা-ইঙ্গতের স্পষ্ট ভাষা ডমিঙ্গো। তাকে না রাখার পক্ষে। জাতীয় দলে ডমিঙ্গো না থাকুক, নতুন কোনো কোচ আসুক এটা চাইছে সবাই। তবে নতুন কোচ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ক্রিকেট চলবে তার স্বাভাবিক গতিতে। ক্রিকেট কর্তারা এখন ডমিঙ্গো ইস্যুতে একটা মতে আসছেন, তাকে জাতীয় দলে না রেখে অন্য কোনো দায়িত্বে রাখা যায় কি না। কারণ, ডমিঙ্গো তার চুক্তিপত্রে এমন একটি শর্ত ঢুকিয়ে দিয়েছেন যেটা এখন বিসিবির জন্য গলার কাঁটা হয়ে গেছে। তাকে বাদ দিতে হলে বড় অংকের অর্থ গচ্চা দিতে হবে। যেটা লসের খাতায় যাবে। এই মুহুর্তে এসব কিছু না করে এমন একটা পথ খুঁজে বের করা দরকার, যেখানে শাপ মরবে লাঠিও ভাঙ্গবে না। তাই আপাতত ডমিঙ্গো জাতীয় দলের দায়িত্বে থাকলেও খুব বেশি সময় নেই যেখান থেকে সরিয়ে দিয়ে তাকে অন্য কোনো দায়িত্বে দেওয়া হতে পারে। এটা হতে পারে হাইপারফরম্যান্স ট্রেনিং কোচ, একাডেমির কোচ অথবা নারী দলের কোচ, সেখানেও তাকে দেখা যেতে পারে। বিসিবির কর্তাদের মাথায় মধ্যে এমনটাই ঘুরপাক খাচ্ছে। এটা নিয়ে বিসিবি সবার সঙ্গে কথা বলছে। সাবেক খেলোয়াড় যারা বিসিবিতে আছেন, এমনকি তামিম ইকবালসহ পৃথক পৃথক ভাবে আরও তিন চারজন ক্রিকেটারের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। সেখানে কোচ পরিবর্তনের আভাষ স্পষ্ট। কোচের পারফরম্যান্সের চেয়ে কোচ নানা বিষয়ে যেসব ভুমিকা রেখেছেন তা খেলোয়াড়দের মধ্যে বিতর্ক তৈরি করেছে। যার প্রভাব পড়েছে মাঠের পারফরম্যান্সে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাজে হারের কারণে খেলোয়াড়রা সমালোচিত হচ্ছেন এবং তারাও মুখ খুলছেন। বিশ্বকাপে হার কোনো বিষয় না। হারের পেছনে অনেক ঘটনা রয়েছে। কানে কানে জানিয়ে দিচ্ছেন ক্রিকেটের অন্দর মহলে কোথায় কী হয়েছে। সব কথা এক করলে অভিযোগের তীর ডমিঙ্গোর দিকেই বেশি। বিসিবি ডমিঙ্গোকে অন্য কোনো দায়িত্ব দিতে চাইলেই তিনি সাদরে সেটি গ্রহন করবেন কি না সেটাও একটা প্রশ্ন। কারণ চুক্তিপত্রে কী লেখা আছে সেটা বিসিবি এবং ডমিঙ্গো ছাড়া কে জানে।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা