নিজস্ব প্রতিবেদক :
নমুনা পরীক্ষার জাল সনদের মামলায় ডা. সাবরিনাসহ ৯ জনের মামলায় আড়াই মাসের বেশি সময় ধরে করোনাভাইরাসের কারণে আদালত বন্ধ থাকায় সাক্ষ্য গ্রহন হয়নি। আগামি ৪ জুলাই থেকে আবার শুরু হচ্ছে সাক্ষ্য গ্রহণের কার্যক্রম। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালত সাক্ষ্য গ্রহণের এ তারিখ ধার্য করেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) সংশ্লিষ্ট আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান এ তথ্য জানান।
মামলাটিতে সর্বশেষ গত ৩১ মার্চ উজ্জল সরকার নামের এক প্রকৌশলী সাক্ষ্য দেন। এরপর গত ২৭ এপ্রিল মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এরই মাঝে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় লকডাউনের কারণে আদালত বন্ধ থাকায় আর কার্যক্রম এগোয়নি।
গত বছর করোনা সংক্রমণের শুরুতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে কোন রকম পরীক্ষা না করেই ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয় জেকেজি হেলথ কেয়ার। এর বেশির ভাগই ভুয়া বলে ধরা পড়ে। এ অভিযোগে গত বছর ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করা হয়। গত বছর ৫ আগস্ট এ মামলায় ঢাকা সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। ২০ আগস্ট সাবরিনাসহ ৯ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। চার্জশিটভূক্ত অপর আসামিরা হলেন- আরিফুল চৌধুরী, সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইন্সেসের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা, বিপ্লব দাস ও মামুনুর রশীদ। এরা সবাই এখন কারাগারে।
মামলায় এ পর্যন্ত ৪০ সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম