November 18, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Saturday, November 13th, 2021, 5:59 pm

ডি মারিয়ার গোলে আর্জেন্টিনার জয়

অনলাইন ডেস্ক :

এ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার গোলে উরুগুয়েকে ১-০ ব্যবধানে পরাজিত করে কাতার বিশ্বকাপের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে আর্জেন্টিনা।
ইনজুরিতে থাকা লিওনেল মেসি কাল বদলী বেঞ্চে থাকলেও ৭৬ মিনিটে কোচ লিওনের স্কালোনি তাকে গিওভানি লো সেলসোর স্থানে মাঠে নামিয়েছিলেন। হাঁটু ও হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারনে পিএসজির হয়ে শেষ দুটি ম্যাচে খেলতে পারেননি মেসি। যে কারনে আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলা নিয়ে পিএসজির পক্ষ থেকে বিরোধীতাও করা হয়েছিল।
উরুগুয়ের মন্টেভিডিওর ক্যাম্পেয়ন ডেল সিজলো স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৭ মিনিটেই ডি মারিয়ার গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ম্যাচের বাকিটা সময় স্বাগতিক উরুগুয়ের সুস্পষ্ট আধিপত্য থাকলেও ম্যাচে ফিরে আসা হয়নি।
এই জয়ে ২৬ ম্যাচ অপরাজিত থাকা আর্জেন্টিনার সামনে এখন সুযোগ এসেছে মঙ্গলবার ব্রাজিলের বিপক্ষে জয়ী হয়ে কাতার বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করা। তবে সেক্ষেত্রে বাছাইপর্বে এগিয়ে থাকা কলম্বিয়া, চিলি কিংবা উরুগুয়ের নিজ নিজ ম্যাচগুলোতে পরাজিত হতে হবে। ইতোমধ্যেই ১২ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চল থেকে সবার আগে বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে ব্রাজিল। সম সংখ্যক ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে আর্জেন্টিনা।
কাল ম্যাচ শেষে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ বলেছেন, ‘এই দলটির যথেষ্ট সাহস আছে। যখন দলটি ভাল খেলে না তখনো তাদের মধ্যে জয়ের আকঙ্খা থাকে। আজকের ম্যাচের জয়টা সামনে এগিয়ে যাবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই জয়টা আমাদের প্রাপ্য ছিল। কারন আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি।’
এদিকে এই পরাজয়ে বিশ্বকাপের প্লে-অফ স্পট থেকে কিছুটা হলেও পিছিয়ে গেল উরুগুয়ে। সমান ১৬ পয়েন্ট নিয়ে উরুগুয়ে চিলি ও কলম্বিয়ার থেকে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে।
পঞ্চম মিনিটে নাহিতান নানডেজ উরুগুয়েকে এগিয়ে দেবার সুযোগ নষ্ট করেন। লম্বা একটি থ্রো থেকে গোলপোস্টের মাত্র সাত গজ দুরে নানডেজের পায়ে বল আসলেও মার্টিনেজ দ্রুত দৌড়ে এসে তা প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। নানডেজের বাজে শটটি সহজেই রুখে দেন এ্যাস্টন ভিলার গোলরক্ষক মার্টিনেজ। বিপরীতে দুই মিনিটের মধ্যে গোল হজম করে বসে স্বাগতিকরা। পাওলো দিবালা বক্সের ঠিক বাইরে থেকে জোয়াকুইন পিকুয়েজের কাছ থেকে বল ছিনিয়ে নিয়ে ডি মারিয়ার দিকে বাড়িয়ে দেন। দারুন এক শটে বল জালে জড়াতে ভুল করেননি অভিজ্ঞ এই স্ট্রাইকার। প্রথমার্ধে এটি ছিল আর্জেন্টিনার একমাত্র শট। লুইস সুয়ারেজ এরপর বেশ কিছু চেষ্টা চালিয়েও সফল হতে পারেননি। তার একটি ফ্রি-কিক অল্পের জন্য পোস্টেও বাইরে দিয়ে চলে যায়। ৩০ মিনিটে সুয়ারেজের একটি ভলি পোস্টে লেগে ফেরত আসে। ফিরতি বলেও বাম পায়ের শটে তিনি গোল করতে ব্যর্থ হন। প্রথমার্ধের শেষভাগে মাতিয়ান ভেসিনোর শট কোনমতে আটকে দেন মার্টিনেজ।
বিরতির পর আর্জেন্টিনা কিছুটা হলেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রন নিতে চেষ্টা করে। কিন্তু তা সত্তেও উরুগুয়েই ছিল বেশী বিপদজনক। বদলী খেলোয়াড় পাপু গোমেজ শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় শটটি নিতে সক্ষম হয়। কিন্তু ৬০ মিনিটে তার শটটি পোস্টের অনেক বাইরে দিয়ে চলে যায়। জোয়াকুইন কোরেয়ার দুটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে ব্যবধান বাড়াতে পারেনি আর্জেন্টিনা। শেষ পর্যন্ত বদলী বেঞ্চ থেকে মেসিকে উঠিয়ে এনে আক্রমনের ধার বাড়ানোর চেষ্টা করেন স্কালোনি। ম্যাচ শেষে ৬ মিনিট আগে উরুগুয়ের বদলী খেলোয়াড় অগাস্টিন আলভারেজের হেড পাঁচ গজ দুর থেকেও পোস্টের ঠিকানা খুঁজে পায়নি।