নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে, বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা ২৬,৫৫৫ এবং মৃত্যুর সংখ্যা ১৩৮ তে পৌঁছেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এই রোগে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের অর্ধেকই ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকা থেকে।
জুলাই মাস থেকে ডেঙ্গুর সংক্রমণ শুরু হয়, যেখানে প্রথমে ২,৬৬৯ জন আক্রান্ত হন এবং ১২ জনের মৃত্যু ঘটে। আগস্টে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে ৬,৫২১ জন আক্রান্ত হন এবং ২৭ জন মারা যান।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার সতর্ক করেছেন যে, পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে যদি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হয়। তিনি অভিযোগ করেছেন, কর্তৃপক্ষ কার্যকর পদক্ষেপ না নিয়ে সময় নষ্ট করছে, ফলে প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছে।
মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল জানিয়েছে, চলতি বছরে প্রায় ২,০০০ রোগী ভর্তি হয়েছে, যাদের মধ্যে বর্তমানে ১০০ জনের বেশি চিকিৎসাধীন। একই চিত্র অন্যান্য হাসপাতালে দেখা যাচ্ছে, যেখানে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ বলেছেন, সিটি করপোরেশনগুলোকে মশার প্রজনন স্থান ধ্বংস করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “প্রাথমিকভাবে পদক্ষেপ নিলে ডেঙ্গুর সংক্রমণ হ্রাস পাবে।”
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ইতিহাস অনুযায়ী, ২০০০ সালে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব শুরু হয় এবং ২০০০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ২ লাখ ৪৪ হাজার ২৪৬ জন আক্রান্ত হন। গত বছর বাংলাদেশ ডেঙ্গুর সবচেয়ে ভয়াবহ সময় দেখেছে, যেখানে ৩ লাখের বেশি মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হন এবং ১,৭০৫ জনের মৃত্যু ঘটে।
বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার বিভাগের ১০টি টিম দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনসহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মশা নিধন অভিযান বাস্তবায়ন করছে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক