অনলাইন ডেস্ক :
ডেল্টার কারণে বেশিরভাগ দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাই ভেঙে পড়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস আধানম গেব্রিয়াসাস। মহামারি করোনাভাইরাস শুরুর পর অন্যান্য ঢেউ গুলো মোকাবিলা করতে পারলেও ডেল্টার প্রভাবে নতুন এই ঢেউয়ে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে এশিয়ার করোনা পরিস্থিতি। শনিবার ডেল্টার প্রভাবে সর্বোচ্চ সংক্রমণের রেকর্ড হয়েছে জাপান, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায়। থাইল্যান্ডে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে মর্গের ধারণ ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় কন্টেইনারে সেগুলো সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সংক্রমণ বাড়ায় সোমবার থেকে নতুন করে কঠোর বিধি নিষেধ আরোপের ঘোষণা দিয়েছে ভিয়েতনাম। করোনায় বিপর্যস্ত অস্ট্রেলিয়ায় আগস্টের শেষ নাগাদ চলবে কঠোর বিধি নিষেধ।লকডাউন বিরোধী বিক্ষোভ প্রতিরোধে সিডনির গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো ঘিরে রেখেছে পুলিশ। এদিকে ডেল্টার প্রভাবে কানাডায় চতুর্থ ঢেউ শুরু হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে, ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, টিকা নেয়ার পর শরীরে তৈরী প্রতিরোধ ক্ষমতা দিন দিন কমতে থাকে। তাই দেশগুলোকে টিকাদান কর্মসূচি বছরের পর বছর চালিয়ে নিতে হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১শে মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০শে জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু