অনলাইন ডেস্ক :
গোটা একটা সপ্তাহ যেন স্বপ্নের মতো কাটল জেডেন ড্যানসের। লিভারপুলের জার্সিতে অভিষেক, প্রথম শিরোপার স্বাদ, প্রথম গোল- সবকিছু কত দ্রুতই না পেয়ে গেলেন ১৮ বছর বয়সী ইংলিশ ফরোয়ার্ড। এফএ কাপে সাউথ্যাম্পটনের বিপক্ষে বদলি নেমে ১৫ মিনিটের মধ্যে দুই গোল করে এবার দলের জয়ের নায়ক তিনিই। স্বপ্নপূরণের উচ্ছ্বাসে উড়ছেন এই টিনএজার। অ্যানফিল্ডে বুধবার সাউথ্যাম্পটনকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে এফএ কাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে পা রাখে লিভারপুল। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। বিরতির ঠিক আগে বক্সের সামনে থেকে ডান পায়ের নিচু শটে লিভারপুলকে এগিয়ে নেন আরেক ১৮ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড লুইস কুমাস। অভিষেকেই জালের দেখা পেলেন লিভারপুলের একাডেমি থেকে উঠে আসা এই তরুণ। ড্যানসও উঠে এসেছেন এই একাডেমি থেকেই। কুমাসের জায়গাতেই ৬৩তম মিনিটে তাকে বদলি নামান কোচ। ১০ মিনিট পর হার্ভে এলিয়টের পাস বক্সে পেয়ে চিপ শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ড্যান্স।
নির্ধারিত সময় শেষের দুই মিনিট বাকি থাকতে নিজের দ্বিতীয় গোলে সব অনিশ্চয়তার ইতি টেনে দেন তিনি। গত বুধবার প্রিমিয়ার লিগে লুটন টাউনের বিপক্ষে ম্যাচের শেষ দিকে বদলি নেমে লিভারপুলের হয়ে অভিষেক হয় তার। এরপর রোববার লিগ কাপের ফাইনালে চেলসির বিপক্ষেও শেষ দিকে তাকে বদলি নামান কোচ। অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচে ভার্জিল ফন ডাইকের গোলে জিতে শিরোপা উল্লাসে মাতে লিভারপুল। এবার এফএ কাপের ম্যাচে বদলি নেমে ড্যানসের এমন আলো ঝলমলে পারফরম্যান্স। ম্যাচ শেষে বিবিসি স্পোর্টকে এই তরুণ বললেন, তার জীবনের সেরা দিন এটি। “আজ এর চেয়ে খুশি হতে পারতাম না আমি। আজ আমার জীবনের সেরা দিন। ছোটবেলা থেকেই লিভারপুলের খেলা দেখে আসছি এবং অ্যানফিল্ডের কপ প্রান্তে গোল করাটা স্বপ্নের চেয়েও বেশি কিছু।”
চোটের কারণে লিভারপুলের প্রথম পছন্দের একগাদা ফুটবলার আছেন বাইরে। সাউথ্যাম্পটনের বিপক্ষেও তরুণদের নিয়ে জোড়াতালি দিতে দল সাজাতে হয় কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপকে। ২১ বা এর চেয়ে কম বয়সী ছয় জন খেলোয়াড়কে শুরুর একাদশে রাখেন তিনি। এবারও তরুণরা হতাশ করেনি এই জার্মান কোচকে। ১৯৯৭ সালে গ্রিমসবির বিপক্ষে মাইকেল ওয়েনের হ্যাটট্রিকের পর লিভারপুলের সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে কোনো ম্যাচে অন্তত দুই গোল করলেন ড্যানস (১৮ বছর ৪৩ দিন)। মূল দলের হয়ে প্রথম গোলের দেখা পেয়ে খুশির অন্ত নেই তার। “লিগ কাপের ফাইনালে আমার সামনে গোল করার কয়েকটি সুযোগ এসেছিলৃ আমি এটি (গোল উদযাপনের অনুভূতি কেমন) ভাষায় বর্ণনা করতে পারব না। আমার স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। অসাধারণ এক অনুভূতি।” “যখন আমার অভিষেক হয়, তখন আমার বাবা কেঁদেছিলেন, তাই আমি জানি না তিনি
এখন কী করতে চলেছেন।”
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা