নদী খনন ও ড্রেজিংয়ে (পলি অপসারণ) অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ১০টি নৌপথ বন্ধ হয়ে গেছে বলে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। রবিবার (৩১ মার্চ) সংগঠনটির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার নদী খনন ও পলি অপসারণ খাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দিলেও সংশ্লিষ্টদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ঘাটতি রয়েছে।
লঞ্চমালিক নেতাদের বরাত দিয়ে এসসিআরএফ আরও জানায়, ৩১টি নৌপথ সচল থাকলেও সেসব পথের বিভিন্ন স্থানে নাব্য সংকট রয়েছে। ফলে লঞ্চ চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। এ কারণে সচল নৌপথগুলোতে লঞ্চের সংখ্যা কমছে।
নৌযাত্রী, নৌশ্রমিক ও অধিকার কর্মীদের বরাতে এসসিআরএফের প্রতিবেদনে বলা হয়, নদী খনন ও পলি অপসারণে বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নেই। এ কারণে জনগুরুত্বপূর্ণ এ কাজে লাগামহীন অনিয়ম ও দুর্নীতি হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার এ খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিচ্ছে। কিন্তু বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ১৫ বছরেও নদীর নাব্য ফিরিয়ে আনতে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জিত হয়নি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা ও দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের মধ্যে ৪১টি স্বীকৃত নৌপথ থাকলেও ঢাকা নদীবন্দরের সদরঘাট টার্মিনাল থেকে মাত্র ৩১টি রুটে বাণিজ্যিক লঞ্চসহ পণ্যবাহী বিভিন্ন ধরনের নৌযান চলাচল করছে। তীব্র নাব্য সংকটের কারণে বাকি নৌপথগুলোতে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি