শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার জনের বিরুদ্ধে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের করা মামলার কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
মামলা বাতিল চেয়ে করা এক আবেদনের প্রেক্ষিতে রবিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আবেদনের পক্ষের আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান লিখন।
মামলা স্থগিতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্যারিস্টার কাজল জানান, স্থগিতাদেশের পাশাপাশি হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। রুলে কেন মামলাটি বাতিল ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। শ্রম সচিব, আইন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনকে আসামি করে এ মামলা করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও শাহজাহান।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তারা শ্রম আইনের কিছু লঙ্ঘন দেখতে পান। এর মধ্যে ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাদের স্থায়ী করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। এ ছাড়া কোম্পানির লভ্যাংশের পাঁচ শতাংশ শ্রমিকদের দেয়ার কথা থাকলেও তা তাদের দেয়া হয়নি।
এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শ্রম আইনের চার এর সাত, আট, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় ফৌজদারি মামলা করা হয়।
মামলাটি আমলে নিয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর বিবাদীদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন আদালত। পরে তারা হাজির হলে গত ১২ অক্টোবর মামলার চার আসামিকেই জামিন দেন তৃতীয় শ্রম আদালত। শ্রম আইনে করা এ মামলা বাতিল চেয়ে গত ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টে আবেদন করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রবিবার হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম