ঢাকায় বুধবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। রাজধানীতে শিলাবৃষ্টিসহ বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার।
হঠাৎ এমন বৃষ্টিতে শহরের কিছু অংশে পানি জমে যায় এবং যানজটের সৃষ্টি হয়। এসময় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন অফিস ও স্কুলগামীরা।
ঢাকা ছাড়াও রংপুর, নওগাঁ, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, নোয়াখালী, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, রাঙামাটি, ফরিদপুর ও রাজবাড়ী জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী বয়ে গেছে।
সারাদেশে শিলাবৃষ্টিসহ বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৫৫ কিলোমিটার।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেছেন, গত মধ্যরাতে রংপুর জেলায় সর্বোচ্চ ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে যেখানে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৭৮ কিলোমিটার।
তিনি আরও বলেন, দেশের অনেক স্থানে কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাসের কারণে অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোকে দুই নম্বর সর্তক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার ঢাকা, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, নোয়াখালী, হাতিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
মঙ্গলবার আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, পশ্চিমাঞ্চলীয় নিম্নচাপটি উপ-হিমালয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমী নিম্নাংশ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক