বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শফিউল আজিম বলেছেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং-এর কাজ নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
তিনি বলেন, ‘গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং বিষয়ে কোনো নির্দেশনা আসেনি। প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দর পরিদর্শনের সময় একটি স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছিলেন, বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং উন্নত করতে হবে এবং বিশ্বমানের হতে হবে। সেই থেকে আমরা কাজ করছি।’
সিইও শফিউল আজিম বলেন, ‘তখন থেকে নতুন যন্ত্রপাতি কিনছি। নতুন করে ১ হাজার কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কিনেছি, পাইপ লাইনে আছে আরও ৬০০ থেকে ৭০০ কোটি টাকার উপকরণ। আমরা জনবলও নিয়োগ দিয়েছি।’
তিনি বলেন, এতেও সীমাবদ্ধতা আছে, কিন্তু আমরা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছি। এ বিষয়ে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) সঙ্গে একটি প্রকল্প নিয়েও কাজ করছি, এটি এখনও চলমান।
বিমান বাংলাদেশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘বিদেশি যত এয়ারক্রাফট আসছে তাদের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা দিচ্ছি। তাদের কোনো অভিযোগ নেই। এত সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও কাজ করছি, দেশি-বিদেশি এয়ারক্রাফটগুলোকে সপ্তাহের ৭ দিন, ২৪ ঘণ্টা করে আমরা গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং দিচ্ছি।’
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, বর্তমানে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং-এর যে সক্ষমতা আছে, তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে ৩০ শতাংশ বেশি সেবা দিতে পারব।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ‘ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কাজটি স্মার্ট হওয়া উচিৎ এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে পারে, এমন একটি দক্ষ কোম্পানি বেছে নিলে আরও ভালো হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিমান গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং তত্ত্বাবধান করে আসছে এবং এটি এয়ারলাইনসের আয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস। তাই গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং থেকে বিমানকে পুরোপুরি বাদ দেওয়া যাবে না। যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাদের বিমানের সঙ্গে কাজ করতে হবে। সরকার শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’
গত ১৫ জুলাই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ‘এটিজেএফবি ডায়ালগ’ অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, ‘হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে জাপান। তাদেরই এ কাজ দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তাদের কাজ দেওয়ার জন্য কী ধরনের টার্মস দেওয়া হবে, সেটি নির্ধারণে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) মাধ্যমে করা হবে।’
এ বিষয়ে বিমানের সিইও ইউএনবিকে বলেন, ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কাজের বিষয়ে সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
তিনি বলেন, ‘গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের ক্ষেত্রে আমরা (বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস) একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান। হজ নিয়ে আমরা বড় ধরনের সার্ভিস দিয়েছি, কোনো সমস্যা হয়নি। স্পেশাল ফ্লাইট, ভিভিআইপি ফ্লাইট, ইউএন ফ্লাইট অপারেট করছি, যে কোনো দুর্যোগের সময় ফ্লাইট অপারেট করছি। কোথাও কোনো সমস্যা হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কে করবে তা সরকার ঠিক করবে, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ নয়।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি