নবনির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে ঢাকা ও মস্কোর সম্পর্কের আরও উন্নতি হবে এবং জনগণের মধ্যে শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনবে বলে প্রত্যাশা করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মানতিৎস্কি।
বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫২তম বার্ষিকী উপলক্ষে এক বার্তায় রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক অস্থিরতা সত্ত্বেও মস্কো ও ঢাকার মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা ফলপ্রসূ হচ্ছে।
২০২৩ সালে রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক বেশ কয়েকটি মাইলফলক স্পর্শ করেছে। যেমন সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের প্রথম বাংলাদেশ সফর; প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে অক্টোবরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহ এবং নভেম্বরে চট্টগ্রাম বন্দরে রুশ প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের শুভেচ্ছা সফর।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে রাশিয়া। বিভিন্ন কৃষি-শিল্পজাত পণ্য, বিশেষ করে গম ও সারের অন্যতম প্রধান সরবরাহকারীও।’
রাষ্ট্রদূত মানতিৎস্কি বলেন, ২০২৩ সালে বাংলাদেশে রাশিয়ার শস্য রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২৭ লাখ টন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দুই দেশের মধ্যে অর্থবহ মিথস্ক্রিয়া ১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে কূটনৈতিক সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠার আগে, কারণ সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৭১ সালে চলমান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাঙালি জনগণকে ব্যাপকভাবে সমর্থন করেছিল।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, এরপর থেকে ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে দুই দেশের ইতিহাসে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা ও উল্লেখযোগ্য অর্জনের পাশাপাশি গৌরবময় স্মৃতি রয়েছে।
রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘রাশিয়ান ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে শক্তিশালী ঐতিহাসিক উত্তরাধিকার এবং পারস্পরিক ভালোবাসা নতুন অর্জন এবং যৌথ স্বপ্নের জন্য একটি দৃঢ় ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।’
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম