নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জড়িয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এ সময় সংগঠনের নেতাকর্মীরা আলালের কুশপুতুল দাহ করেন। এছাড়া আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ডের রায়ের প্রসঙ্গ টেনে ছাত্রশিবির-ছাত্রদলের হামলায় নিহত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হত্যার রায়ও দ্রুত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন তারা। বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের উদ্যোগে এ বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। সমাবেশে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আছে বিধায় জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিতে পারছে না। শান্তিতে দেশের জনগণ ঘুমাতে পারছেন। বিএনপি-জামায়াত জোটের সময় কোনো নৈতিকতা ছিল না। সেজন্য বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে কোনো আপোশ চলবে না। তারা পাকিস্তানের প্রেতাত্মা।
তিনি আরও বলেন, এই আলালরা (মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল) মুক্তিযুদ্ধের সময় কোথায় ছিল! এই আলাল প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে যেভাবে কুরুচিপূর্ণ কথা বলেছেন সেটা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। অবিলম্বে তাকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ডের রায়ের কথা উল্লেখ করে জয় বলেন, আমরা মনে করি উচ্চ আদালতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা পাবে। পাশাপাশি যারা ওই সময়ে ঘটনাস্থলে ছিল না তারা যেন শাস্তির আওতায় না আসে সেটাও বিজ্ঞ আদালতকে বিবেচনায় নিতে হবে। সমাবেশে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, আবরার হত্যার পর সর্বপ্রথম ছাত্রলীগই ঢাকা শহরে শোক মিছিল বের করেছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শক্ত নির্দেশনায় এই হত্যাকান্ডে সঙ্গে জড়িত সবার দ্রুত বিচারকার্য সম্পাদন হয়েছে। বুয়েটের সব শিক্ষক-শিক্ষার্থীও এ রায়কে সাধুবাদ জানিয়েছেন। একই দেশে দুটি আইন কেন প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ২০১৩ সালে বুয়েট ছাত্রলীগের কর্মী আরিফ রায়হান দ্বীপকে শিবিরের নেতাকর্মীরা নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল, সে মামলার রায়ের কী অবস্থা? রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগকর্মী শহীদ ফারুক হোসেন, বুয়েট ছাত্রী সাবিকুন নাহার সনি, চট্টগ্রামের বাকলিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের আট নেতাকর্মী হত্যার রায়ের কী অবস্থা? কেন একই দেশে একটি ছাত্র সংগঠনের জন্য একটি আইন, আরেকটি ছাত্র সংগঠনের জন্য আরেকটি আইন হবে? আল নাহিয়ান খান জয়ের সভাপতিত্বে ও লেখক ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। সমাবেশ শেষে মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের কুশপুতুল দাহ করা হয়। এবং তার প্রতিকৃতি বানিয়ে জুতাপেটা ও ঝাড়ুপেটা করেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম