অনলাইন ডেস্ক :
আফগানিস্তানে তালেবানের অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর সাধারণ জনগণ আশা করছেন পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে ও অর্থনীতির চাকা আবারও হবে সচল। তালেবানের কাছে নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থানের প্রত্যাশা তাদের। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সাহায্যের হাত বাড়ানোর আহ্বানও জানিয়েছেন আফগানরা। তালেবান সরকার গঠনের পর বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা থেকে আর্থিক সহায়তা বন্ধ থাকায় আফগানরা পরেছেন বিপাকে। অনেকেই হারিয়েছেন কাজ, জীবিকা নির্বাহ করতে ন্যুনতম আয় করতেও বেগ পেতে হচ্ছে। অর্থনীতিতে মন্দা ভাব থাকলেও নতুন সরকার অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসবে এমন আশা আফগান ব্যবসায়ীদের। তারা জানান,’সরকার পরিবর্তনের পর আগের মতো আর ব্যবসা হচ্ছে না। তালেবান আসার আগে যা বিক্রি হতো এখন তার অর্ধেক বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই ঠিকমতো বেতন পাচ্ছে না। তারপরও মনে হয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক কিছু হবে।’ বর্তমানে দেশটিতে নিত্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রয়েছে ও পেট্রোলের দামও কমতে শুরু করেছে। তালেবান আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে জোর দেবে বলেও ভাবছেন অনেকে। তাদের মতে,’নতুন সরকারের কাছে আমরা নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থান চাই। অনেকেরই দুই তিনমাসের বেতন আটকে আছে। এমন নড়বড়ে অর্থনীতির পরিবর্তন করতে সরকারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। এ ক্ষেত্রে জাতিসংঘ বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।’ বিশ্ব ব্যংকের তথ্য বলছে, ২০২০ সালে দেশটির মাথাপিছু আয় ছিল দুই হাজার মার্কিন ডলার। এক দশকে বেকারত্ব বেড়েছে ১১ শতাংশ ও দারিদ্য সীমার নিচে বাস করছেন ৪৭ শতাংশের বেশি মানুষ। স্বাভাবিক জীবন ফেরাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে এই আশায় দিন গুণছেন ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশটির জনগণ।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২