অনলাইন ডেস্ক :
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ব্যস্ত সূচির কারণে ক্রিকেটারদের ‘ওয়ার্ক লোড ম্যানেজম্যান্ট’ এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। বিশেষ করে পেসারদের বিশ্রাম দিয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানোর চর্চা চলছে বিভিন্ন দেশে। বাংলাদেশ ক্রিকেটেও গত দেড়-দুই বছরে শোনা গেছে এই কথা। এবার ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমানদের তরতাজা রাখতে সেই পথে হাঁটার কথা বলেছেন চান্দিকা হাথুরুসিংহে। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচের একাদশে ছিলেন না তাসকিন। তার জায়গায় চট্টগ্রামে ওই ম্যাচ খেলার সুযোগ পান ইবাদত হোসেন। দুই উইকেট নিয়ে নিজের সামর্থ্যরে ছাপ রাখেন ইবাদত। সামনে এবার আয়ারল্যান্ড সিরিজ। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ওয়ানডের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধান কোচ আভাস দিলেন, বিশ্বকাপের আগে সামনের ম্যাচগুলিতে প্রায়ই দেখা যেতে পারে এমন পরিবর্তন। “ঠিক এ কারণেই (বিশ্বকাপের আগে তরতাজা রাখা) ওকে (তাসকিন) আমরা শেষ ম্যাচে খেলাইনি, বিশ্রাম দিয়েছি। আমরা ওকে ঠিকঠাক গুছিয়ে রাখতে চাই। ও আমাদের স্ট্রাইক বোলারদের একজন। ও বিশ্ব মানের বোলার। সিরিজে সে অন্য যে কারও মতোই অনেক জোরে বল করেছে।” “আমরা তাসকিন ও ফিজকে (মুস্তাফিজ) বিশ্রাম দিতে চেয়েছিলাম। কারণ সামনে অনেক খেলা আছে। এটি আমাদেরকে দলের অন্যান্য ফাস্ট বোলারদের ম্যাচ খেলানোর সুযোগ করে দেবে।” ওয়ানডে স্কোয়াডে থাকলেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোনো ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি আরেক পেসার হাসান মাহমুদের। তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিন ম্যাচেই মূল একাদশে ছিলেন তিনি। সামনে হাসানসহ অন্যান্য পেস বোলারদের আরও যত বেশি সম্ভব সুযোগ দেওয়ার আশা হাথুরুসিংহের। “অবশ্যই! আমাদের যদি আরও খেলা থাকত, ও (হাসান মাহমুদ) নিশ্চিতভাবেই আরও অনেক ম্যাচ খেলত। আমরাও সেটাই চেষ্টা করছি, ফাস্ট বোলারদের বেশি বেশি ম্যাচ খেলানোর। এতে তারা আত্মবিশ্বাস পাবে এবং আমরাও বুঝতে পারব কীভাবে তারা দায়িত্ব সামলায়।” টি-টোয়েন্টিতে সিরিজে স্রেফ ৩ উইকেট পেলেও হাসানের বোলিংয়ের প্রভাব যে আরও বেশি ছিল, তা আলাদা করে তুলে ধরেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ। “সে যেভাবে তিন ওয়ানডেতে (আসলে টি-টোয়েন্টিতে) চাপের ওভারগুলো সামাল দিয়েছে, খুবই প্রশংসনীয় ছিল। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সে (জস) বাটলারকে আউট করে আমাদের জন্য ম্যাচটা উন্মুক্ত করে দেয়।” “আমি যদি ম্যাচের দিকে তাকাই, এতে করে (মেহেদী হাসান) মিরাজকে আমরা ব্যবহার করতে পেরেছি। (বাটলারের) ওই উইকেট তাদের সব বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে উইকেটে নিয়ে আসে। যদি বাটলার উইকেটে থেকে যেত, তাহলে শেষ দিকে ম্যাচটা অন্যরকম হয়ে যেতে পারত।” শেষ ম্যাচের বোলিংয়ের জন্য হাসানের মতো মুস্তাফিজকেও প্রশংসায় ভাসান শ্রীলঙ্কান কোচ। “খেলার মধ্যে এসব ছোট ছোট লড়াইগুলো গুরুত্বপূর্ণ। আমি এমন ক্রিকেটারদের খুঁজছি যারা প্রয়োজনের সময় দাঁড়িয়ে যাবে এবং কাজ করে দেবে। এসব জিনিস নিয়মিত করলে তারা আত্মবিশ্বাস পায়। দলও তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে আস্থা পায় এবং ভরসা করতে পারে। ফাস্ট বোলারদের কথা জিজ্ঞেস করলে, ফিজ (মুস্তাফিজ) যেভাবে শেষ ম্যাচে বোলিং করেছে… ও খুব বেশি উইকেট পায়নি। কিন্তু ওর দুটি দারুণ ওভার খেলার মোমেন্টাম বদলে দিয়েছিল।” এ সময় সংবাদমাধ্যমের কাছেও নিজের একটি চাওয়ার কথা তুলে ধরেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ। “আমি চাই আপনারা যখনই লেখেন বা বলেন, এসব ছোট ছোট জিনিস যেগুলো মোমেন্টাম বদলে দেয়, সেগুলো তুলে ধরুন। কারণ, এখান থেকে আমাদের ছেলেরা আত্মবিশ্বাস পায়। কারণ আপনারা যা লেখেন বা বলে, ওরা সেগুলো পড়ে ও শোনে। তাই আপনারা এই কাজটি করতে পারেন।”
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা