অনলাইন ডেস্ক :
দু:সময় পার করছে মালদ্বীপের ফুটবল। বাংলাদেশের কাছে হেরে সাফের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়ের পর বিশ্বকাপের মূল বাছাইয়েও জায়গা পায়নি তারা। এর আগে অর্থাভাবে অনুর্ধ্ব-২৩ দল খেলতে পারেনি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে। মালদ্বীপ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএএম) নাকি তাঁর স্টাফদেরও বেতন দিতে পারছে না। তবে এসব কিছুর আড়ালে উল্টো দুর্নীতির গন্ধ পেয়েছে সে দেশের প্রসিকিউটর জেনারেল অফিস। যার নির্দেশে গত ২২ অক্টোবর পুলিশ অভিযান চালিয়েছে মালদ্বীফ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কার্য্যালয়ে। ফিফা এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে আসা ফান্ড এফএএম কর্মকর্তা বা তাদের ঘনিষ্টদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকছে এমন অভিযোগ আসার পরই এই অভিযান চালানো হয়েছে।
মালদ্বীপ পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা এ-সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি ও প্রমাণাদি জব্দ করেছে। মালদ্বীপ ফুটবলের সভাপতি বাসাম আদিল জলিল অবশ্য তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি। এদিকে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনে সরকারের দুর্নীতি বিরোধী এই অভিযান ফিফার চোখে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের শামিল।
যে পরিস্থিতিতে এর আগে ভারত, পাকিস্তান বা শ্রীলঙ্কার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন নিষিদ্ধ হয়েছিল। মালদ্বীপ ফুটবলকে নিয়ে এখন সেই শঙ্কা। এমনকি এফএএম- এর সাবেক সভাপতি এবং বর্তমান সাংসদ আজিম এই মুহূর্তে নিষেধাজ্ঞাটাকেই সমাধান মালদ্বীপ ফুটবলের জন্য, ‘মালদ্বীপ ফুটবলে যে ক্ষতি হয়ে গেছে এর মধ্যে, নিষেধাজ্ঞা এর চেয়ে বেশি আর কি ক্ষতি করবে। এখানে পরিপূর্ণ একটা শুদ্ধি অভিযান প্রয়োজন এখন সেটা ফিফার নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে হলেও।’ দি এডিশন
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা