অনলাইন ডেস্ক :
অবৈধ উপায়ে উত্তর আফ্রিকা থেকে ইউরোপে যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরের তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২০ অভিবাসনপ্রত্যাশী নিখোঁজ রয়েছেন। সম্প্রতি উত্তর আফ্রিকার দেশটি থেকে ইউরোপে যাওয়ার প্রবণতা ব্যাপকভাবে বেড়েছ। একই সঙ্গে বেড়েছে দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা। কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। শনিবার স্ফ্যাক্স আদালতের বিচারক ফৌজি মাসমুদি জানান, স্ফ্যাক্সের উপকূলে নৌকাটি ডুবে যাওয়ার পর উপকূলরক্ষীরা আরও ১৭ জনকে উদ্ধার করেছে, যাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুত্বর। তিউনিসিয়ার ন্যাশনাল গার্ড শুক্রবার জানায়, এ বছরের প্রথম তিন মাসে ইউরোপে পাড়ি দেওয়ার সময় ১৪ হাজারের বেশি শরণার্থী ডুবে যায় অথবা উদ্ধার হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই সাব-সাহারার আফ্রিকার। এ সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি। উন্নত জীবনের আশায় আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত থেকে পালিয়ে অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশের জন্য লিবিয়াকে প্রধান রুট হিসেবে বেছে নিয়েছে মানবপাচারকারীরা। সম্প্রতি তিউনিসিয়া হয়ে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের। মার্চের শেষ দিকে সাব-সাহারান আফ্রিকান অঞ্চলের শরণার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে তিউনিসিয়া উপকূলে একটি নৌকা ডুবে যায়। ওই ঘটনায় অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু হয়। নৌকাটি ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার চেষ্টা করছিলো। ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি গত শুক্রবার বলেন, তিউনিসিয়ায় আর্থিক স্থিতিশীলতা আনা না গেলে উত্তর আফ্রিকা থেকে ইউরোপীয় উপকূলে শরণার্থীদের একটি বিশাল ঢেউ দেখা দেবে। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল ও অন্যান্য দেশকে তিউনিসিয়ার পতন এড়াতে অবিলম্বে সহায়তার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু