অনলাইন ডেস্ক :
শুরুটা ছিল ছন্দহীন কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের গুছিয়ে নিতে থাকে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। সেই ছন্দ ধরে রেখে প্রথমার্ধেই দুই গোলে এগিয়ে যায় জুলফিকার মাহমুদের দল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এক গোল শোধ দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালায় পুলিশ। কিন্তু এরপর আর তাদেরকে সুযোগ না দিয়ে আরো দুই গোল করে দারুণ জয় তুলে নেয় শেখ রাসেল। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) বাংলাদেশ পুলিশকে ৪-১ ব্যবধানে হারায় শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। জোড়া গোল করেছেন ইসমাইল আকিনাদে। বাকি দুটি করেছেন রিচার্ড গাদজে ও চার্লস দিদিয়ের। লিগের প্রথম পর্বে পুলিশের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছিল শেখ রাসেল। লিগের দ্বিতীয় পর্বে ৯ ম্যাচ খেলে শেখ রাসেল জিতেছে চারটিতে, ড্র তিনটি ও হার দুটিতে। ২০ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম অবস্থানেই থাকল শেখ রাসেল। সমান ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে বাংলাদেশ পুলিশ। আগের ম্যাচে একাধিকবার সুযোগ নষ্ট করে মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে ড্র করেছিল জুলফিকার মাহমুদের দল। কিন্তু আজ আর কোনো ভুল করেনি। সুযোগ তৈরি করে তা কাজে লাগিয়ে বড় ব্যবধানের জয় তুলে নিয়েছে। যদিও কিংস অ্যারেনায় ম্যাচের শুরুতে রাসেলের রক্ষণে চাপ দেয় পুলিশ। অষ্টম মিনিটে সেরা সুযোগ নষ্ট করে পুলিশের সাহেদুল আলম। আমিরুদ্দিন শারিফির বাড়ানো বল ছয় গজ বক্সের সামনে থেকে ঠিকঠাক শট নিতে পারেননি সাহেদ। ৩৫ মিনিটে গোলের সুযোগ তৈরি করে রাসেল কিন্তু লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি ইসমাইল আকিনাদে। রিচার্ড গাদজের বাড়ানো বল বক্সে ঢুকে কোনাকুনি থেকে আকিনাদের শট বাইরের জাল কাঁপায়। ৩৯ মিনিটে দারুণ সেভে রাসেলকে রক্ষা করেন আশরাফুল রানা। প্রতি আক্রমণে বাঁ প্রান্ত দিয়ে ঢুকে বক্সের সামনে থেকে আমিরুদ্দিন শারিফির শট ঝাঁপিয়ে আটকে দেন রানা। ৪৫ মিনিটে পুলিশের রক্ষণ ভেঙে ম্যাচে এগিয়ে যায় শেখ রাসেল। মাঝমাঠ থেকে চার্লস দিদিয়েরের হাওয়ায় ভাসানো লম্বা পাস বক্সের ভেতর থেকে ইসমাইল আকিনাদের হেড গোলকিপার নেহাল কোনমতে আটকালেও দ্রুতই বলের কাছে গিয়ে হালকা টোকায় লক্ষ্যভেদ করেন নাইজেরিয়ান এই ফরোয়ার্ড। বিরতিতে যাওয়ার আগেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে শেখ রাসেল। যোগ করা দ্বিতীয় মিনিটে বক্সের কোনাকুনি থেকে ডান পায়ের বাঁকানো শটে জাল খুঁজে নেন রিচার্ড গাদজে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আক্রমণে মনোযোগী হয় পুলিশ। গোলও পেয়ে যায় তারা। ৫১ মিনিটে রক্ষণের ভুলে পুলিশকে গোল উপহার দেয় শেখ রাসেল। বক্সের সামনে বল পেয়ে যান আমিরুদ্দিম শরিফি, দেখেশুনে ঠা-া মাথায় খানিকটা জায়গা পরিবর্তন করে গতির শটে জাল খুঁজে নেন আফগানিস্তানের এই ফরোয়ার্ড। অবশ্য ৫৬ মিনিটে ব্যবধান ৩-১ করে ফেলে শেখ রাসেল। জোড়া গোল পূরণ করেন ইসমাইল আকিনাদে। ডান প্রান্ত থেকে রিচার্ড গাদজের পাস বক্সের ভেতর থেকে আকিনাদের শট প্রথম দফায় নেহাল আটকে দিলেও ফিরতি বলে তার গায়ে গেলে বল জালে জড়ায়। ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা শেখ রাসেল আক্রমণে ধার বাড়িয়ে পুলিশকে চেপে ধরে। এতে পেয়ে যায় আরো একটি গোল। ৭০ মিনিটে শেখ রাসেলকে চতুর্থ গোল এনে দেন চার্লস দিদিয়ের। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে ফ্রি কিকে লক্ষ্যভেদ করেন আইভরি কোস্টের এই মিডফিল্ডার। বাকি সময়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালায় পুলিশ; কিন্তু পারেনি ব্যবধান কমাতে। এতে দারুণ জয় পায় শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা