অনলাইন ডেস্ক :
দৈত্যাকার হাম্পব্যাক তিমি গিলে ফেলেছিল যুক্তরাষ্ট্রের এক ব্যক্তিকে। বছরখানেক আগে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসার সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন ওই মার্কিন নাগরিক।২০২১ সালের জুনে ম্যাচাচুসেটস এর মাইকেল প্যাকার্ড তিমির মুখের মধ্যে আটকে ছিলেন প্রায় ৪০ সেকেন্ড। ‘কেপ কড টাইমস’ কে এক সাক্ষাৎকারে মাইকেল বলেছেন, তিনি সমুদ্রে সাঁতার কাটতে গিয়েছিলেন। ডাইভ দিয়ে তিনি সমুদ্রের গভীরে চলে গিয়েছিলেন। অবস্থান করছিলেন সমুদ্র তলদেশের ১০ ফুট উপরে। সেখানে থাকা অবস্থায় বিশাল আকারের তিমি তাকে গিলে ফেলে।‘কেপ কড টাইমস’ কে মাইকেল প্যাকার্ড বলেন, “আমি দুইটা ডাইভ দিয়ে পানির নীচে চলে গিয়েছি। তৃতীয় ডাইভের পর তলদেশে প্রায় পৌঁছে যাচ্ছি এমন সময়ে কেউ আমাকে বিরাট ধাক্কা দিলো। মুহুর্তের মধ্যে সে ফিরে গেলো।” মাইকেল প্যাকার্ড আরো জানান, ‘বিশাল জলরাশি যেন আমার দিকে ধেয়ে আসছিলো।’ তিনি যেন তিমির শরীরের চাপও অনুভব করতে পারছিলেন। সে মুহূর্তেই বুঝতে পারলেন তিনি তিমির মুখের মধ্যে চলে গিয়েছেন। তার শ্বাস নেয়ার যন্ত্রও খুলে গেছে। যন্ত্রটি প্যাকার্ড ধরার চেষ্টা করছিলেন। কারণ ওটা না থাকলে তিনি মারা পড়বেন।
সেই মুহূর্তের অনুভূতি বর্ণনা করতে যেয়ে প্যাকার্ড বলেন, শ্বাস যন্ত্রটি ফিরে পাওয়ার জন্য আমি মরিয়া ছিলাম। একপর্যায়ে যন্ত্রটি আবার আমার মুখে লাগাতে সক্ষম হলাম। একই সঙ্গে তিমির চোয়ালের মধ্যে থেকে নিজেকে বের করার চেষ্টা করলাম।তিনি আরও জানিয়েছেন, ওই অবস্থায় আমি নিজেকে বলতে থাকলাম তুমি আটকা পড়েছ মাইকেল। এখানেই তুমি মারা পড়বে। আমি শতভাগ নিশ্চিত ছিলাম যে, তিমির মুখ থেকে আমি বের হতে পারব না। সে অবস্থায় আমি আমার সন্তান এবং স্ত্রীর কথা ভাবছিলাম।যাহোক সৌভাগ্যবশত আমি তিমির মুখ থেকে বের হতে পেরেছি। কারণ তিমিটি একপর্যায়ে পানির উপরের দিকে যেতে থাকে এবং বিভ্রান্তের মতো মাথা ঝাঁকাতে থাকে। শেষে মুখ থেকে আমাকে বের করে দেয়। তিমির মুখ থেকে বের হয়ে ভাবতে থাকেন প্যাকার্ড ‘ঈশ্বর আমাকে রক্ষা করেছেন।’
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২