May 3, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, October 5th, 2023, 7:56 pm

তিস্তার পানিতে ফসলের ক্ষতি

ভারী বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যায় ভারতের উত্তর সিকিমের তিস্তা অংশে বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে লালমনিরহাটের তিস্তা নদীর পানি বেড়ে চরের ফসলসহ দুই পাড়ের নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

বছরজুড়ে খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার অবলম্বনটুকু পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকের কপালে পড়েছে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। দেখা দিয়েছে শুকনো খাবারসহ বিভিন্ন সংকট।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার নিচে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হলেও, কাউনিয়া পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার উপরে রেকর্ড করা হয়।

বিস্তৃর্ণ তিস্তা চরাঞ্চলে বিভিন্ন ফসল এবং নদী তীরে বসবাসকারী মানুষের জানমালের বিপুল ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

লালমনিরহাটের গোবর্দ্ধন এলাকার বাসিন্দা কৃষক ফারুক মিয়া বলেন, চরে তিন দোন জমিতে রোপা আমন করেছিলাম। ধান উঠার সময়ও চলে আসছে। হঠাৎ পানি আসায় সব ডুবে আছে। কতটুকু ধান থাকবে বলা মুশকিল।

আরেক কৃষক তোতা মিয়া বলেন, চরে কয়েকদিন আগে ধান কেটে রেখেছি। হালকা বৃষ্টি হয় জন্য নিয়ে আসিনি বাড়িতে। পানি আসার খবরে কোনোরকমে ভেজা ধান নিয়ে আসছি। বৃষ্টি পড়তেছে। তাই ধান মাড়াই করতেও পারছি না।

আদিতমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওমর ফারুক বলেন, বন্যার পানিতে চরের সবজি খেতসহ বিভিন্ন ফসল ডুবে আছে। মাঠ পর্যায়ে আমাদের লোকজন কাজ করছে। এখনো ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও দমকা বাতাসে বিপাকে পড়েছে বানভাসী মানুষ। গরু-ছাগল নিয়ে ঠাঁই নিয়েছে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে। উৎকণ্ঠায় রাত পার করলেও পানি নেমে যেতে শুরু করায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে বানভাসী মানুসের মাঝে। তবে বন্যা পরবর্তী ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনতা প্রচার এবং সার্বিক দেখভাল করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

ভারতীয় সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের (সিডব্লিউসি) তথ্যানুযায়ী বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র জানায়, ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিকিমে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।

এ ছাড়াও, রংপুর অঞ্চলসহ লালমনিরহাট, নীলফামারী ও কুড়িগ্রাম এলাকায় রাত থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, উজানের ভারী ঢলে তিস্তায় আবারও বন্যা দেখা দেবে। আমরা সার্বিক খোঁজ-খবর রাখছি।

—-ইউএনবি