অনলাইন ডেস্ক :
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগানের প্রতি প্রস্তাব দিয়েছেন যে, রাশিয়া তুরস্কের ভেতর দিয়ে আরও বেশি করে গ্যাস রপ্তানির মাধ্যমে এই অঞ্চলকে গ্যাস সরবরাহের নতুন একটি কার্যকর কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারে আর তার উদ্দেশ্য ইউরোপে রাশিয়ার জ¦ালানি শ্রেষ্ঠত্ব যেন অক্ষুন্ন থাকে। গত বৃহস্পতিবার কাজাখস্থানে এক বৈঠকে পুতিন জানান যে, তুরস্ককে ইউরোপীয় ইউনিয়নে গ্যাস সরবরাহে সবচেয়ে বিশ্বস্ত রুট তৈরির প্রস্তাব দেয়া হয়েছে এবং নতুন করে গড়ে ওঠা এই গ্যাস হাবটিতে গ্যাসের মূল্য নির্ধারিত হবে রাজনীতির বাইরে থেকে স্বাধীনভাবে। রাশিয়া বাল্টিক সাগর অঞ্চল থেকে নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইনের গ্যাস সরবরাহ অন্য কোনো দিকে সরিয়ে নিতে চায়। এই পাইপলাইন দুটি গত মাসে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল যার তদন্ত এখনও চলছে। রাশিয়া কোনো প্রমাণ ছাড়াই এই বিস্ফোরণের জন্য পশ্চিমাদের দায়ী করে আসছে। পাশাপাশি দেশটি পাইপলাইনে নিজেরাই নাশকতা চালিয়েছে- পশ্চিমাদের এমন অভিযোগের বিষয়টি ‘অর্থহীন’ বলে বাতিল করে দিয়েছে। বৈঠকে পুতিন এরদোগানকে বলেন, ‘এই গ্যাস হাবটি শুধুমাত্র গ্যাস সরবরাহের প্লাটফর্ম হিসেবে গড়ে ওঠবে তাই নয় পাশাপাশি গ্যাসের মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে কাজ করবে।’ পুতিন বলেন, ‘বর্তমানে গ্যাসের মূল্য আকাশ ছোঁয়া, আমরা কোনো রকম রাজনৈতিক প্রভাবের বাইরে গিয়ে একটি সাধারণ বাজার ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যেতে পারি।’ এরদোগান এই বৈঠকে সরাসরি কিছু না বললেও ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন দুই নেতা এই ধারণার বিষয়ে দ্রুত ও বিস্তারিত পরীক্ষা-নীরিক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন। পেসকভ বলেন, ‘তুর্ক স্ট্রিম গ্যাস পাইপলাইন নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইনের বদলি হিসেবে আত্মপ্রকাশ হবে না কেননা এই দুটি পাইপলাইনের রয়েছে আলাদা রকম ধারণ ক্ষমতা।’ উল্লেখ্য, রাশিয়া ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর আগে ইউরোপের ৪০ শতাংশ গ্যাস সরবরাহ করতো। তবে হামলার পর থেকে সরবরাহ কমতে থাকে। দেশটি বলছে, সরবরাহ কমে যাওয়ার প্রধান কারণ কারিগরি সমস্যা এবং পশ্চিমাদের আরোপ করা অবরোধ। তবে, ইউরোপের দেশগুলো মস্কোর এই ব্যাখ্যাকে বাতিল করে দিয়ে বলেছে যে দেশটি জ¦ালানিকে ভূ-রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু