May 17, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, April 2nd, 2024, 8:12 pm

তুরস্কের স্থানীয় নির্বাচনে এরদোগানের দলের পরাজয়

অনলাইন ডেস্ক :

তুরস্কের স্থানীয় নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোগানের দল জাস্টিস অ্যান্ড ভেলেপমেন্ট পার্টি (একেপি) পরাজিত হয়েছে। তবে রোববারের নির্বাচনের ফলাফলকে ‘সন্ধিক্ষণ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন দুই যুগ ধরে দেশটির ক্ষমতায় থাকা এরদোগান।খবর এএফপির। সাড়ে আট কোটি জনসংখ্যার এই দেশটির নির্বাচনে আংশিক ফলাফলে দেখা গেছে রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) বেশ অনেকটাই এগিয়ে আছে। ইস্তানবুলের মেয়র ও বিরোধী দলের নেতা একরেম ইমামোগ্লু প্রায় সব ভোট গণনা শেষে উচ্ছ্বসিত সমর্থকদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আগামীকালের দিনটা আমাদের দেশের জন্য হতে যাচ্ছে নতুন বসন্তের দিন।’

গত সোমবার চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করবে তুরস্কের ইলেকটোরাল কমিশন। ৭০ বছর বয়সী এরদোগান ইস্তানবুলে জয়লাভের জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করেছিলেন। দেশের অর্থনীতির ‘পাওয়ার হাউস’ হিসেবে খ্যাত ইস্তানবুলের এক সময়ের মেয়র ছিলেন তিনি। তবে অতিরিক্ত মূল্যস্ফীতি ও অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ক্ষমতাসীন দলের প্রতি আস্থা কমে গেছে দেশবাসীর। এদিকে বিরোধী দলের জয়ে ইস্তানবুল শহরে রিপাবলিকান পিপলস পার্টির সদরদপ্তরের বাইরে তুরস্কের পতাকা উড়িয়ে ও মশাল জ্বালিয়ে ফলাফল উদযাপন করেছে সিএইচপি।

নির্বাচনে তার ভোট দিয়ে ইমামোগ্লু বলেন, ‘সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে’, যা তিনি তার নির্বাচনি শ্লোগান হিসেবে ব্যবহার করে আসছেন। ৫২ বছর বয়সী এই ব্যক্তি ২০২৮ সালের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এরদোগানের মূল প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে আবির্ভূত হতে চলেছেন। এছাড়া আঙ্কারাতেও মেয়র হিসেবে জয়লাভ করেছেন রিপাবলিকান পিপলস পার্টির মানসুর ইয়াভাস। নির্বাচনে নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করে জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন শেষ হয়ে গেছে এবং আমরা আঙ্কারার সেবা করে যাবো।’ মানসুর ইয়াভাস আরও বলেন, ‘দেশ শাসনের বিষয়ে যাদের অবহেলা করা হয়েছিল তারা পরিষ্কার বার্তা দিয়েছে যে কারা সত্যিকারভাবে শাসনভার নেবে।’

এদিকে তুরস্কের তৃতীয় বৃহত্তম শহর ইজমির এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আন্তালিয়াতেও বিরোধী দলের জয়লাভের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ক্ষমতাসীন দলের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত আরও বেশ কিছু শহর থেকেও এরদোগানের দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলমমেন্ট পার্টির সম্ভাব্য পরাজয়ের খবর আসছে। এ প্রসঙ্গে সিএইচপি চেয়ারম্যান ওজগুর ওজেল বলেন, ‘ভোটাররা তুরস্কের চেহারা পাল্টে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা দেশে নতুন রাজনৈতিক পরিবেশের দ্বার উন্মোচন করতে চান।’