অনলাইন ডেস্ক :
তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত লেবানন। বন্ধ হয়ে গেছে অধিকাংশ পাহাড়ি অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা। তীব্র ঠান্ডায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটি। তুষারঝড়ের কারণে পর্বতমালা থেকে শুরু করে বাসা-বাড়ি সব জায়গায় বরফের চাদর। লেবাননের চেবাসহ অধিকাংশ পাহাড়ি এলাকায় এ দৃশ্য এখন। চেবা অঞ্চলে জানুয়ারি মাসে কেবল তুষারপাত হলেও সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি তীব্র তুষারঝড়ের কারণে সব জায়গায় বরফের আস্তর পড়েছে। কয়েক ইঞ্চি বরফে ঢেকে আছে রাস্তা ঘাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা। বরফ সরাতে দিন রাত কাজ করছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। একটু পরপরই বরফে ঢেকে যাচ্ছে রাস্তাঘাট। এ অবস্থায় পাহাড়ি অঞ্চলের অধিকাংশ সড়কই বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, কোথাও কোথাও রাস্তা উন্মুক্ত থাকলেও এই বৈরী আবহাওয়ার কারণে চলাচল করা সম্ভব হচ্ছে না। একটার পর একটা ঝড় আসছে। তাই বেশিরভাগ রাস্তা আসলে বন্ধ রয়েছে। মানুষজন কোথাও যেতে পারছে না।তুষারপাতের পাশাপাশি কোথাও কোথাও আবার তুষারবৃষ্টি। সব মিলিয়ে তীব্র তুষারের কারণে ব্যাহত হচ্ছে বাসিন্দাদের জীবন। তুষারপাত ও তুষারঝড়ে জেঁকে বসেছে তীব্র ঠান্ডা। এমনিতে অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে দেশটির নাগরিকদের স্বাভাবিক জীবন চালানোই কঠিন। সেখানে তুষারঝড় নতুন করে মানবিক বিপর্যয় ডেকে এনেছে। ঘরে বসে কোনোরকম দিন পার করছেন তারা। এক নারী বলেন, রাস্তাঘাট বন্ধ। বাইরে থেকে কোনো কিছু কিনে আনারও অবস্থা নেই। কেউ কারো খোঁজ নিতে পারছি না। কারো কাছে কোন জ¦ালানি নেই। যাদের আছে তারা খুব সাবধানে ব্যবহার করছেন। পুরো শীতকালটা পার করতে হবে। শুধু জ¦ালানিই নয়, রুম হিটারের জন্য যে বিদ্যুতের প্রয়োজন সেটিও অনেকের কাছে সোনার হরিণ। অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বিপর্যস্ত দেশটির বাসিন্দাদের জন্য তুষারঝড় মরার ওপর খাড়ার ঘাঁ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু