অনলাইন ডেস্ক :
সাহারা মরুভূমির কথা শুনলেই প্রথম যেটা মনে হয় তা হলো, প্রচন্ড উত্তাপ আর অনুর্বর উত্তপ্ত বালির বর্জ্য। কিন্তু সেই সাহারায় এখন বালি নেই! তুষারপাতে বালি ঢেকে গেছে। এতে দারুণ এক সৌন্দর্যের সৃষ্টি হয়েছে সাহারায়। সাহারা এলাকায় তুষারপাত সাধারণত খুব একটা দেখা যায় না। বলা যায় খুবই বিরল ঘটনা। কয়েক বছরে একবার ঘটে এমন ঘটনা। খবর ল্যাডবাইবেলের। আলজেরিয়ার আইন সেফরা ‘সাহারার প্রবেশদ্বার’ হিসেবে পরিচিত। আইন সেফরা শহরে এবার খুব ভালোভাবেই শীত শুরু হয়েছে। আর এই শীতে গত ৪২ বছরের মধ্যে পঞ্চবারের মতো শহরটিতে তুষারপাত হয়েছে। রাতারাতি তাপমাত্রা মাইনাস ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়। এতে শহরটির বাসিন্দারা প্রায় ঠান্ডায় হিম শীতল হয়ে যাওয়ার অবস্থায় পড়ে। শহরটি এটলাস পর্বতমালার মধ্যে অবস্থিত এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় তিন হাজার ফুট উপরের অবস্থিত। মরুভূমি সাধারণত শুষ্কই হয় এবং এই জন্যই ওই নামে ডাকা হয়। তবে মরুভূমিতে সব সময় প্রখর উত্তাপ থাকে না। যদিও সাহারা পৃথিবীর একমাত্র মরুভূমি যা তার অতিরিক্ত উত্তাপের জন্য পরিচিত। উত্তর আফ্রিকার বেশিরভাগ অংশ নিয়ে সাহারা মরুভূমির অবস্থান। এই তুষারপাতে মরুভূমিটি আবারও সবুজে ভরে উঠবে এটা আশা করা যায়। তবে তা যেন কিছু সময়ের জন্য না হয়। বিষয়টি এমন যে, পৃথিবীর অন্যান্য জায়গার মতো আদ্রতা এবং তাপমাত্রার ভেতর দিয়ে মুরুভূমিতেও পরিবর্তন হচ্ছে। এর অর্থ হলো পৃথিবীর যে স্থানে একদা প্রাণী এবং উদ্ভিদের অস্তিত্ব ছিলে সেখানটা আবার একদিন সবুজে ভরে উঠবে। প্রাণী আর পোকামাকড়ের প্রাচুর্যতা ফিরবে। তবে সেটা রাতারাতি হয়ে যাবে সেটা ভাববারও কারণ নেই। হয়তো ১৫ হাজার বছর পর আমরা আবার সাহারাকে ফলবান হতে দেখবো।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু