নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত জেলা পঞ্চগড়ে পুরোদমে নামতে শুরু করেছে শীত। দুইদিন অন্য জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকার পর ১৭ দিন ধরে এ জেলায় দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। এদিকে দিনভর গরম আবহাওয়া থাকলেও রাত থেকে পরদিন প্রথম সকাল পর্যন্ত থাকছে হাঁড় কাঁপানো শীত। রোববার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সকাল ১১টায় সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে রেকর্ড করা হয়। আবহাওয়া অফিস বলছে, ডিসেম্বরের ২০ তারিখ (সোমবার) থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত ১০দিন তাপমাত্রা ১০ থেকে ৬ ডিগ্রির ঘরে নেমে এসে ওঠানামা করবে। এদিকে গত ১৭ দিন ধরে তেঁতুলিয়ায় দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। শীতের তীব্রতা ও গরম কাপড়ের অভাবে দুর্ভোগে পড়ছে স্থানীয় নিম্ন আয়ের মানুষেরা। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সকাল সকাল সূর্য উঁকি দিলেও উত্তর থেকে বয়ে আসা পাহাড়ি হিমেল হাওয়ায় শীতের দাপট অনেকটাই বেড়েছে। প্রতিবারের মত এবারও অনেকটা আগে শীতের আমেজ শুরু হওয়ায় পঞ্চগড় জেলার মানুষের স্বাভাবিক জীবনে কিছুটা বিপর্যয় নেমে এসেছে। অনেকেই শীত থেকে রেহায় পেতে গরম কাপড় ও শীত বস্ত্রের জন্য ছুটছে। এদিকে বৈরী আবহাওয়ায় শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ বয়স্করা। এতে জেলার সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। তবে জেলার মধ্যে সব থেকে বেশি শীত অনুভূত হয় সীমান্ত উপজেলা তেঁতুলিয়ায়। ইতোমধ্যে প্রশাসন ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা শুরু হলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। অন্যদিকে হতদরিদ্রদের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত থেকে সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানদের এই শীতে সাহায্যের হাত বাড়াতে অনুরোধ জানিয়েছেন পঞ্চগড় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত স¤্রাট। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ্ বলেন, রোববার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় পঞ্চগড় ও তেঁতুলিয়ায় দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসষ্টিয়াস। দিনের তুলনায় রাতের তাপমাত্রা অনেকটাই কমে আসছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে দিনের বেলাও অনেকটা শীত অনুভূত হচ্ছে। তিনি আবহাওয়া পূর্বাভাসের বরাত দিয়ে আরও বলেন, এ জেলার একেবারে কাছে হিমালয় পর্বত অবস্থিত হওয়ায় ডিসেম্বরের ২০ তারিখ (সোমবার) থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত ১০দিন তাপমাত্রা ১০ থেকে ৬ ডিগ্রির ঘরে নেমে এসে ওঠানামা করবে। একই সঙ্গে শীতের তীব্রতা বাড়বে। তবে আগামী ২২ সালের জানুয়ারিতে শীতের তীব্রতা আরও বেড়ে যেতে পারে এবং তীব্র থেকে তীব্র শীত অনুভূত হতে পারে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি