অনলাইন ডেস্ক :
থাইল্যান্ডের নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজ ডুবে ৩১ জন নৌসেনা নিখোঁজ হয়েছে বলে বাহিনীটি জানিয়েছে। রোববার রাতে ঝড়ের মধ্যে থাইল্যান্ড উপসাগরে কর্ভেট যুদ্ধজাহাজটি ডুবে যায়, এতে শতাধিক নাবিককে উদ্ধার করা প্রয়োজন হয়ে পড়ে। থাইল্যান্ডের সামরিক বাহিনী যুদ্ধজাহাজ ও হেলিকপ্টার মোতায়েন করে নিখোঁজ ৩১ নৌসেনার সন্ধানে অভিযান শুরু করে বলে থাই নৌবাহিনী জানিয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যরাতের অল্প কিছুক্ষণ আগে ব্যাংককের দক্ষিণে প্রেচুয়াপ খিরি খান প্রদেশের উপকূল থেকে প্রায় ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে এইচটিএমএস সুখোথাই যুদ্ধজাহাজের ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দেওয়ার পর সেটি ডুবে যায়। জাহাজটির নিখোঁজ নৌসেনাদের খোঁজে নৌবাহিনীর তিনটি জাহাজ ও দুটি হেলিকপ্টার পাঠানো হয়। থাই নৌবাহিনী জানিয়েছে, রাতে খারাপ আবহাওয়ার মধ্যেই চালানো উদ্ধার অভিযানে ১০৬ জন নাবিকের মধ্যে ৭৫ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জাহাজটির মধ্যে পানি উঠে যাওয়ার পর এর কাঠামো পানিতে ভরে যায় এবং ইঞ্জিন রুমে শর্ট-সার্কিটের ঘটনা ঘটে। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পরও ক্রুরা নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করেন কিন্তু জাহাজটি একপাশে কাত হয়ে স্থানীয় সময় রাত প্রায় সাড়ে ১১টার দিকে ডুবে যায়। জাহাজটি প্রেচুয়াপ খিরি খান প্রদেশের বাং সাফান জেলার উপকূল থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে টহল দেওয়ার সময় ঝড়ের কবলে পড়েছিল। বিবিসি জানিয়েছে, নৌবাহিনীর তিনটি জাহাজ ও হেলিকপ্টার পাঠানো হলেও জাহাজটি ডুবে যাওয়ার আগে শুধু ফ্রিগেট এইচটিএমএএস ক্রাবুরি এর কাছে পৌঁছাতে পারে। এই ফ্রিগেটটি সুখোথাইয়ের ১০৬ জন নাবিকের মধ্যে ৭৫ জনকে উদ্ধার করে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত বাকি ৩১ জন নাবিক নিখোঁজ ছিলেন। তাদের পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে এবং তাদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা সঙ্কটজনক বলে থাই নৌবাহিনী জানিয়েছে। তবে কেউ মারা যায়নি। নিখোঁজ এই নাবিকদের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে কিনা তা পরিষ্কার হয়নি। সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে দেওয়া এক বিবৃতিতে নৌবাহিনীটি বলেছে, “তারা এখনও পানিতেই আছে।” কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সব নাবিকের খোঁজে রাতভর সন্ধান চালানো হয়।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু