অনলাইন ডেস্ক :
বন্যার পানি থেকে ব্যাংককের বিভিন্ন অঞ্চলকে রক্ষায় থাই কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার দ্রুততার সাথে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ইতোমধ্যে দেশটির উত্তর ও মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে ৭০ হাজার ঘরবাড়ি বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে এবং ছয়জনের প্রাণহানি ঘটেছে। খবর এএফপি’র।
থাই দুর্যোগ মোকাবেলা ও প্রশমন বিভাগ জানায়, গ্রীস্মমন্ডলীয় ঝড় দিয়ানমুর কারণে থাইল্যান্ডের ৩০টি প্রদেশ বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এতে দেশটির মধ্যাঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চাও পিরায় নদীর পানি স্তর ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় কর্তৃপক্ষ জলস্রোত রোধে নির্মিত বাঁধ থেকে একেবারে উজানের দিকে পানি ছেড়ে দিচ্ছে। নদীটি ব্যাংককের ভিতর দিয়ে এঁকেবেঁকে গেছে।
ব্যাংককের প্রায় ৬০ কিলোমিটার উত্তরে পুরাতন রাজবংশীয় রাজধানী আয়ুথায়ার পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি প্রাচীন প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন রক্ষায় সৈন্যরা বিভিন্ন বাঁধ নিমার্ণ করেছে এবং ভাঙ্গনে বালির বস্তা ফেলেছে।
এতে করে ব্যাংকক ২০১১ সালে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ঘটা সর্বনাশা প্রাকৃতিক দুর্যোগের পুনরাবৃত্তি এড়াতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিগত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ওই প্রাকৃতিক দুর্যোগে পাঁচ শতাধিক মানুষ প্রাণ হারান।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২