অনলাইন ডেস্ক :
ভারী বর্ষণ ও বন্যায় ডারবানসহ দক্ষিণ আফ্রিকার পূর্ব কোয়াজুলু-নাটাল প্রদেশে কমপক্ষে ৩৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। পুরো পরিবারসহ অনেক লোক নিখোঁজ হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী দিনে আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
অবিরাম বর্ষণের ফলে অনেক ভবন ধসে পড়ে এবং প্রধান রাস্তগুলো ভেসে গিয়ে মারাত্মক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইথেকউইনির মেয়র ম্যাক্সলোসি কাউন্ডা বলেছেন, ডারবান এবং আশেপাশের এলাকার ক্ষতি আনুমানিক ৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কমপক্ষে ১২০টি স্কুল প্লাবিত হয়েছে, যার ফলে আনুমানিক ২৬ মিলিয়নেরও বেশি ক্ষতি হয়েছে।
এক বিবৃতিতে শিক্ষামন্ত্রী অ্যাঞ্জি মোতশেকগা জানিয়েছেন, বন্যায় বিভিন্ন স্কুলের অন্তত ১৮ জন শিক্ষার্থী ও একজন শিক্ষক মারা গেছেন।
মোতশেকগা আর বলেছেন, ‘এটি একটি বিপর্যয় এবং এর ক্ষতি নজিরবিহীন। এর চেয়েও বড় উদ্বেগের বিষয় হল, ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলোতে আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স উদ্ধার ও মপ-আপ অপারেশনে সহায়তার জন্য সেনা মোতায়েন করেছে। বন্যার কারণে ডারবান এবং আশেপাশের ইথেকউইনি মেট্রোপলিটন এলাকার অনেক অংশে পানি এবং বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কর্মকর্তাদের মতে, এই পরিষেবাগুলো পুনরুদ্ধার করতে কমপক্ষে এক সপ্তাহ সময় লাগবে।
বুধবার দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি বন্যাকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করার জন্য মন্ত্রিসভার একটি জরুরি বৈঠক ডেকেছেন, যাতে বন্যার ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবিলা করার জন্য তহবিল নির্ধারণ করা যেতে পারে।
অন্যদিকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্মকর্তারা জানান, ডারবানের উত্তরে টোঙ্গাট এলাকার একটি খামার থেকে ১৪টি কুমির বন্যার পানিতে লোকালয়ে চলে গিয়েছিল। তবে পরবর্তীতে সেগুলোকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২