অনলাইন ডেস্ক :
দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলে আছড়ে পড়েছে টাইফুন হিন্নামনর। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। এর ফলে প্রবল ঝড় ও বৃষ্টি হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ রকম শক্তিশালী ঝড় গত কয়েক দশকে সেখানে হয়নি। কয়েক সপ্তাহ আগেই সিওলসহ অন্য এলাকায় প্রবল বৃষ্টি ও বন্যার ফলে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা নাগাদ এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে, তীব্র গতিতে ঝড় হচ্ছে, সমুদ্রে বিশাল বিশাল ঢেউ উঠেছে। ঝড়ের তা-বে প্রচুর গাছ পড়ে গেছে। ২০ হাজার বাড়ি বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে। তিন হাজার ৪৬৩ জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একজন নিখোঁজ রয়েছেন। ঘূর্ণিঝড়ের তা-বে ছয় শ’র বেশি স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। ২৫০টিরও বেশি বিমানের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। ৭০টি ফেরি সার্ভিস বন্ধ রাখা হয়েছে। ৬৬ হাজার মাছ ধরার নৌকা নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
উত্তর কোরিয়ার অবস্থা : উত্তর কোরিয়াও ক্ষতি এড়াতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় দুই দিন ধরে সেখানে বৈঠক করেছে। এই বৈঠকে কিম জং উন স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, বাঁধ থেকে পানি ছেড়ে দেয়া হবে। তবে দক্ষিণ কোরিয়া বারবার অনুরোধ করেছিল পানি ছাড়ার আগে তাদেরকে জানানোর জন্য। কিন্তু উত্তর কোরিয়া সেই অনুরোধের কোনো সাড়া দেয়নি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় উত্তরপূর্বে যাচ্ছে এবং মাঝরাতে তা জাপানে আছড়ে পড়তে পারে। সূত্র : ডয়চে ভেলে
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২