জেলা প্রতিনিধি, সিলেট :
৬ষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচনের দিন গত ৩১ জানুয়ারি সোমবার দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কামালবাজার ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত মারুফ আহমদ (২৫) ইন্তেকাল করেছেন। ৫ ফেব্রুয়ারী শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারী হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মারুফ আহমদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন তার চাচাতো ভাই রহমত আলী খোকন।
এর আগে, ৬ষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচনের দিন গত ৩১ জানুয়ারি সোমবার দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কামালবাজার ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য পদে মোঃ ছোয়াব আলীর বাড়িতে অতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়ে মারুফ আহমদসহ ৫/৬ জনকে গুরুতর আহত করেন অপর প্রার্থী রাজু আহমদের সমর্থকেরা।
পরবর্তীতে মোঃ ছোয়াব আলীর পক্ষ থেকে এই হামলাকে পরিকল্পিত বলে দাবী করা হয়।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত ৩১ জানুয়ারি কামালবাজার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন সুষ্টু ভাবে সম্পন্ন হয়। নির্বাচনে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য পদে মোঃ ছোয়াব আলী ফুটবল প্রতিকে নির্বাচন করে ১১২ ভোট পান। অপর দিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আমির আলী তালা প্রতিকে সমান সংখক ভোট পান। একই ওয়ার্ডে রাজু আহমদ আপেল প্রতিকে ১১০ ভোট পান।
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর সুফি আহমদ, ফয়জুল হক, মাহমুদুল হাসান রাজু, জহুর আলী ও নুরুল আমিনের নেতৃত্বে মোঃ ছোয়াব আলীর বাড়িতে হামলা করা হয়। এতে মোঃ ছোয়াব আলীর ছেলে মারুফ আহমদসহ পরিবারের ৫/৬ জন গুরুতর আহত হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত মারুফ আহমদকে প্রথমে সিলেটে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। এখানে অবস্থার উন্নতি না হওয়াতে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।
আহত মারুফ আহমদের চাচা মোহাম্মদ নওয়াব আলী জানান, তাদের সাথে হামলাকারীদের পূর্বের বিরোধ রয়েছে। হামলাকারীরা পূর্বে দিনে-দুপুরে তাদের বাড়ির সীমানা পিলার তুলে নেয়। তাছাড়া, তারা কবরস্থানের জায়গার মাঠ জরিপের কাগজ থেকে মোঃ ছোয়াব আলী তার চাচার পরিবারের নাম কেটে দেয়। এছাড়াও মোঃ ছোয়াব আলীদের মৌরশি জায়গা তাদের নামে করে নেয়।
তিনি জানান, হামলাকারী সুফি আহমদ ছাত্রলীগ ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের ভাগনে পরিচয় দিয়ে এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করে বেড়ায়।
এদিকে, হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়। মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) মামলাটি দায়ের করেন কামালবাজার ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী মোঃ ছোয়াব আলী। এই মামলায় এই পর্যন্ত ৩ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, হাফেজ আকবর আলীর ছেলে সুফি আহমদ (২৬) তার ভাই মাহমুদুল হাসান রাজু (৩০), মোঃ মাহমদ আলীর ছেলে ফয়জুল হক (২৮)।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি