নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাজারে দাম বেড়েছে ভোজ্য তেল ও মুরগির। অন্যদিকে দাম কমেছে চাল ও সবজির। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে এখনও বাজেটের প্রভাব পড়েনি। চার থেকে পাঁচ দিন পরে বুঝা যাবে বাজেটের প্রভাব। শুক্রবার (১০ জুন) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে। বাজারে সবজির দাম কমেছে। এসব বাজারে শসা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, পেঁপের কেজি ৫০ টাকা, বটবটির কেজি ৬০ টাকা, ধুনধুলের কেজি ৪০ টাকা। ১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আল-আমিন বলেন, বাজারে সবজির চাহিদা থেকে সরবরাহ অনেক ভালো। এ কারণে সবজির দাম কম। এইসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ২০ টাকা। বাজারে আলুর আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। পেঁয়াজে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি। আর একটু ভাল মানের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা। বাজারে চায়না রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। বার্মার আদার কেজি ৬০ থেকে ৭০টাকা। চায়না আদার দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। এ ছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। এছাড়াও এসব বাজারে দেশি মুশুরের ডালের কেজি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মুশুরের ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। প্যাকেট আটার কেজি এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০। খোলা আটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। বাজারে বাড়ছে ভজ্যতেলের দাম। বাজেটে প্রতিলিটার তেলে ৭ টাকা দাম বেড়েছে। বাজারে ১৯৮ টাকা প্রতি লিটার তেল বিক্রি হলেও কিছু খুচরা দোকানে বিক্রি হচ্ছে ২০৫ টাকা লিটার। ১১ নম্বর বাজারের খুচরা ও পাইকারি তেল বিক্রেতা বিসমিল্লাহ স্টোরের মালিক মো. নাহিদ বলেন, আমরা বাজারে এখনও বাড়তি দামে তেল বিক্রি করছি না। প্রতি লিটার তেল বিক্রি করছি ১৯৬ থেকে ১৯৮ টাকায়। এলাকার কিছু দোকানে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ভজ্যতেল। এসব বাজারে লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। বাজারে হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ১৯০ টাকা। বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৭০০ টাকা। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়। বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়। ১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা রুবেল বলেন, আগের থেকে মুরগির দাম একটু কমেছে। বর্তমানে ডিমওয়ালা লেয়ার মুরগি খামারে বেশি থাকায় বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এই কারণে বাজারে লেয়ার মুরগির দাম বেশি। বাজারে চালের দাম কমেছে। কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা দাম কমেছে। মিনিকেট চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৮ থেকে ৭০ টাকা। একসপ্তাহ আগে মিনিকেটের কেজি ছিল ৭০ থেকে ৭২ টাকা। ২৮ চালের কেজি ৩ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকায়। আগে দাম ছিল ৫৫ টাকা কেজি। নাজিরশাইল চালের দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। আগে নাজিরশাইল চালের কেজি ছিল ৮০ টাকা কেজি। বাজারে পোলার চাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। ১১ নম্বর বাজারের মকবুল রাইস এজেন্সি কর্ণধার কামাল সরকার বলেন, বাজারে প্রতি কেজি চালে ২ থেকে ৩ টাকা করে কমেছে। আরও দাম কমার সম্ভবনা আছে।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি