জেলা প্রতিনিধি, পটুয়াখালী (কলাপাড়া) :
দুই দিনব্যাপী বাস ধর্মঘটে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় কমে গেছে পর্যটক। ৮০ শতাংশ হোটেল মোটেলের রুম বুকিং বাতিল হয়েছে। শুক্রবার সমুদ্র সৈকতের জিরো পয়েন্ট, গঙ্গামতী, লেম্বুর চর, রাখাইন মার্কেট ও শুটকি পল্লী সহ পর্যটক স্পটগুলো অল্প সংখ্যক পর্যটকদের ঘুরতে দেখা গেছে। সৈকতের অধিকাংশ ছাতা বেঞ্চ ফাঁকা পরে রয়েছে। বেচা বিক্রি কমে গেছে ফিশ ফ্রাই বা ভাজা মাছ বিক্রির দোকানগুলোতে। তাই কর্মহীন হয়ে পড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচলের প্রতিবাদে শুরু হয়েছে দুই দিন ব্যাপী বাস ধর্মঘট। কুয়াকাটা থেকে কোন যাত্রীবাহী পরিবহন ছেড়ে যায়নি। পরিবহন ধর্মঘটের খবর শুনেই বেশির ভাগ পর্যটক বৃহস্পতিবার রাতেই গন্তব্যে ফিরে গেছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে শুক্রবার বিকেলে কাঁধে ক্যামেরা নিয়ে সৈকতে ঘুরছিলেন ফটোগ্রাফার আল আমিন। তার সাথে কথা হলে তিনি জানান, আজ ছুটির দিন, পর্যটক বেশি থাকার কথা ছিলো। শুনেছি পরিবহন ধর্মঘট চলছে। এ কারনে পর্যটক কম। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মাত্র একজনের ছবি তুলেছি।
ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক কেএম বাচ্চু বলেন, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সব সময় পর্যটক বেশি থাকে। কিন্তু পরিবহন ধর্মঘটের কারণে বর্তমানে পর্যটক অনেকটাই কম। আর পর্যটক না থাকায় তাদের বোট ঘাটে বেঁধে রেখেছে। এদিকে দূরপাল্লার পরিবহন গুলো দীর্ঘ লাইন দিয়ে রাস্তার উপর রয়েছে। নেই প্রতিদিনের মত হাকডাক।
হোটেল সমুদ্র বাড়ির পরিচালক জহিরুল ইসলাম মিরন বলেন, তাদের হোটেলের সবক’টি রুমের অগ্রীম বুকিং বাতিল হয়েছে। পরিবহন ধর্মঘট শেষ হলে ফের রুম বুকিং হবে বলে আশা করছেন এই হোটেল ব্যবসায়ি।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ সাংবাদিকদের জানান, যারা বুকিং দিয়েছিল তারা ধর্মঘটের কারণে বুকিং ফিরিয়ে নিয়েছে।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম