ঈদের ছুটিতে পর্যটকের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, বিপুল পর্যটক আগমনে সন্তুষ্ট পর্যটন ব্যবসায়ীরাও।
সরেজমিনে করোনা মহামারির কারণে দুই বছর পরে সৈকত এলাকা পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। হাজার হাজার পর্যটকের পদচারণায় সৈকত এলাকা উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে। পর্যটকদের উপস্থিতিতে খুশি কক্সবাজারের হোটেল ও মোটেল মালিকরা।
এছাড়া স্থানীয় প্রশাসন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েছেন এবং পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ, আনসার সদস্য ও লাইফগার্ড কর্মীরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।
কক্সবাজারের লাবনী পয়েন্ট ও সুগন্ধা পয়েন্ট পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান এবং যান্ত্রিক জীবন থেকে নিজেকে সতেজ করতে পর্যটকরা ওই এলাকায় ভিড় করেছেন। অনেককে আবার মোটরসাইকেলে করে সৈকত এলাকায় ঘুরতে দেখা গেছে।
হোটেল কক্স টুডের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) আবু তালেব শাহ জানান, দুই বছরের দীর্ঘ বিরতির পর পর্যটকদের আগমনে সন্তুষ্ট পর্যটন ব্যবসায়ীরা। ঈদের ছুটির পরও হোটেল, মোটেল ৯০ ভাগ রুম আগামী ১১ মে পর্যন্ত বুকিং রয়েছে।
হোটেল ব্যবসায়ী সেলিম নেওয়াজ জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী ১০ মে পর্যন্ত আরও বেশি পর্যটক আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এতে পর্যটন শিল্প আরও উন্নয়ন হবে।
হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেস জানান, এবার ঈদের ছুটির পরের এক সপ্তাহেও ৭০ ভাগ রুম বুকিং রয়েছে। নিজের গ্রামে বা শহরে যারা ঈদ উদযাপন করেছেন তাদের অনেকে ঈদের ছুটির পর কক্সবাজার ভ্রমণে আসছেন। তবে আবহাওয়া ঠিক থাকলে আরও অনেকদিন পর্যটকে ভরপুর থাকবে কক্সবাজার।
হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম জানান, ঈদের ছুটির পরেও এক সপ্তাহেও ৭০ ভাগ রুম বুকিং রয়েছে। নিজের গ্রামে বা শহরে যারা ঈদ উদযাপন করেছেন তাদের অনেকে ঈদের ছুটির পর কক্সবাজার ভ্রমণে আসছেন।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম জানান, ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে আগত পর্যটকরা যাতে স্বাচ্ছন্দে ভ্রমণ করতে পারে সেই লক্ষ্যে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও পর্যটকদের চিকিৎসা সেবা ও খাবার পানির ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। প্রশাসনের তৎপরতায় এ পর্যন্ত কোন ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেনি।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মুরাদ উদ্দীন জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তা দিকে চারজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি জেলা পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, লাইফ গার্ড, বিচ কর্মী সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন।
এখানে পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল ও গেস্ট হাউজে দুই লাখেরও বেশি পর্যটকের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসনের এই কর্মকর্তা।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম