April 25, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, March 27th, 2022, 7:39 pm

দুই মিনিটের মধ্যেই এরিকসেনের গোল

অনলাইন ডেস্ক :

ক্রিস্তিয়ান এরিকসেনের জন্য আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফেরাটা এর চেয়ে ভালো হয়তো হতে পারত না। মাঠে নামার দুই মিনিটের মধ্যেই মিলল জালের দেখা। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ থেকে ফেরা ডেনমার্কের এই মিডফিল্ডার খুব খুশি এমন প্রত্যাবর্তনে। নিজেকে নতুন করে আবার একজন ফুটবলার মনে হচ্ছে তার। এরিকসেনের ফেরার উপলক্ষটা যদিও জয়ে রাঙাতে পারেনি তার সতীর্থরা। ইয়োহান ক্রুইফ অ্যারেনায় শনিবার রাতে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তারা হারে ৪-২ গোলে। গত জুনে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে কোপেনহেগেনে ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাঠে লুটিয়ে পড়েন এরিকসেন। মাঠেই তাকে দেওয়া হয় সিপিআর। দীর্ঘক্ষণ চিকিৎসা দেওয়ার পর নেওয়া হয় হাসপাতালে। এরপর এরিকসেনের শরীরে ইমপ্ল্যানটেবল কার্ডিওভার্টার ডেফিব্রিলেটর (আইসিডি) বসানো হয়। এটি একটি ছোট ইলেকট্রনিক ডিভাইস, পেসমেকারের মতো যা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট প্রতিরোধ করে হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখার কাজ করে। সুস্থ হয়ে আগের ক্লাব ইন্টার মিলানেও ফেরেন এরিকসেন। কিন্তু ইটালিয়ান ফুটবলের নিয়মানুযায়ী, শরীরে ইলেকট্রনিক ডিভাইস থাকায় সেখানে আর খেলতে পারেননি তিনি। সাত মাসের ঘটনাবহুল জীবন ও ক্যারিয়ারে অনেক বাধা টপকে জানুয়ারির দলবদলের শেষ দিন ‘ফ্রি এজেন্ট’ হিসেবে মৌসুমের বাকি অংশের জন্য ইংলিশ ক্লাব ব্রেন্টফোর্ডে যোগ দেন এরিকসেন। গত ১৫ মার্চ ডাক পান জাতীয় দলেও। ২৮৭ দিন পর জাতীয় দলের হয়ে খেলতে নামেন ৩০ বছর বয়সী এই ফুটবলার। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বদলি হিসেবে মাঠে নেমেই ৪৭তম মিনিটে করেন গোলটি। ডান দিক থেকে ওলসেনের পাস ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে জোরাল শটে বল জালে পাঠান তিনি। ম্যাচ শেষে স্বাভাবিকভাবেই তার কণ্ঠে ফুটে উঠল উচ্ছ্বাস। “আমি আবার একজন ফুটবলারের মতো অনুভব করছি। আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে আমি অনেকদিন দূরে ছিলাম।” “ফিরতে পেরেই আমি খুব খুশি। সেই সঙ্গে গোল করাটা বাড়তি পাওয়া, অনেক ভালো লেগেছে। এমন কিছুর অপেক্ষায় ছিলাম।” মাঠে নেমে সমর্থকদের কাছ থেকে এরিকসেন পান উষ্ণ অভ্যর্থনা। এই শহর, এই স্টেডিয়াম যে তার অনেক চেনা। একটা সময় এখনেই আয়াক্সের হয়ে পাঁচ মৌসুম কাটান তিনি। ক্লাবটির সাবেক সতীর্থ ডেলি ব্লাইন্ডের সঙ্গে আলিঙ্গন করতে দেখা যায় তাকে। ডাচ ডিফেন্ডার ব্লাইন্ডও শরীরে ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে খেলেন। আরেকটি গোলও পেতে পারতেন এরিকসেন। কিন্তু তার শট পোষ্টে লাগে। গোলটি না পাওয়ায় কিছুটা হতাশ তিনি। “দারুণ ব্যাপার যে আমি গোল করেছি। আমার গোল দুটিও হতে পারতো। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বলটি জালে জড়ায়নি।” “এখানে আমি চমৎকার কয়েকটি বছর কাটিয়েছি এবং আমার ঠিক মনে ছিল যে এখানে গোল পোস্টটা কোথায়।”