গাজীপুরের কাপাসিয়ায় দুই মেয়ে শিশুকে নিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন এক নারী। এ সময় স্থানীয়রা এক শিশুকে উদ্ধার করতে পারলেও বাকি দু’জনের কোনো খোঁজ মেলেনি। তাদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল কাজ শুরু করেছে।
রবিবার দুপুরে কাপাসিয়ার সিংহশ্রী গ্রামের বরামা সেতু এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ আরিফা আক্তার (৪০) কাপাসিয়া উপজেলার বিবাদিয়া গ্রামের মো. আলী মুন্সির মেয়ে ও একই গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের স্ত্রী।
এই ঘটনায় আরিফার বড় মেয়ে তাহমিদা আক্তারকে (৯) স্থানীয় জেলেরা উদ্ধার করতে পারলেও মুর্শিদা আক্তার (৭) নামের তার ছোট মেয়েসহ তিনি নিঁখোজ রয়েছেন।
আরিফার ভাই এমারত হোসেন জানান, ১০/১২ বছর আগে স্থানীয় আব্দুল মালেকের সঙ্গে তার বোন আরিফার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে দুই মেয়ের জন্ম হয়। এর কিছুদিন পর রোগে আক্রান্ত হয়ে স্বামী আব্দুল মালেক মারা যান। এরপর থেকেই আরিফা অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েন এবং তার মধ্যে মানসিক ভারসাম্যহীনতার কিছু লক্ষণ দেখা যায়।
উদ্ধার হওয়া শিশু তাহমিদা জানান, রবিবার সকালে মা জুতা, সিঙ্গারা ও জামা-কাপড় কিনে দেয়ার কথা বলে তাদের নিয়ে বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। পরে তাদের নিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে এসে দু’জনকে দুই হাতে ধরে নদীতে ঝাঁপ দেন। ঝাঁপ দেয়ার পর মায়ের হাত ফসকে নদীতে থাকা বাঁশের মাচা ধরে কান্নাকাটি করতে থাকে তাহমিদা। এ সময় মাছ ধরতে আসা জেলেরা তাকে উদ্ধার করে।
কাপাসিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সাবেদ আলী খান বলেন, শিশু ও এলাকাবাসীর দেয়া তথ্যমতে শীতলক্ষ্যায় এখনও মা ও মেয়ে নিখোঁজ রয়েছে। ডুবুরি দল উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছেন।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি