সরকারি তহবিল থেকে সাড়ে ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের করা মামলায় জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, ব্যাংক ও পুলিশ বিভাগের আট কর্মকর্তা-কর্মচারীর ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ দিয়েছেন মাগুরা জেলা জজ আদালত। বুধবার এই আদেশ দেওয়া হয়।
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল মাগুরার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে উল্লিখিত অভিযোগে মাগুরার সাবেক হিসাররক্ষণ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামসহ হিসাবরক্ষণ, ব্যাংক ও পুলিশ বিভাগের ২৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অন্য দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এ মামলাটি দাখিল করেন। মঙ্গলবার দুপুরে মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে আটজনের ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ দেন মাগুরার সিনিয়র স্পেশাল আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন মাগুরা জেলার সাবেক হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, পুলিশের উপপরিদর্শক হাসিনা খাতুন, পুলিশের দুই সহকারী উপ-পরিদর্শক শাহ আলম, আতিয়ার রহমান, চার পুলিশ সদস্য গাজী মশিউর রহমান, তাসলিমা খাতুন, হালিমা খাতুন ও ফিরোজ হোসেন। পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত তাদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
মাগুরা জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কাজী এস্কেন্দার আজম বাবলু অভিযোগের বিষয়ে জানান, গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে পুলিশের সাধারণ তহবিল (জিপিএফ) ও নিরাপত্তা তহবিলের হিসাব থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে দশ কোটি ৪৪ লাখ এক হাজার ৩৪৮ টাকা আত্মসাৎ করেন ব্যাংক হিসাব জব্দ হওয়া উল্লেখিত আটজনসহ মাগুরা পুলিশ, হিসাবরক্ষণ অফিস ও সোনালী ব্যাংকের ২৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী।
মামলায় তাদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজসে দুর্নীতি ও জালিয়াতির মাধ্যমে মাগুরা পুলিশের সাধারণ তহবিল (জিপিএফ) ও নিরাপত্তা তহবিলের হিসাব থেকে এ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি