প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অগ্রগতির জন্য জবাবদিহি নিশ্চিত করতে এবং তৃণমূল পর্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘কাজের প্রতি আন্তরিকতা, আত্মমর্যাদাবোধ, জবাবদিহি নিয়ে এগিয়ে গেলে এবং দুর্নীতি থেকে দূরে থাকলে যেকোনো কঠিন অবস্থা কাটিয়ে ওঠা যায়, এমনকি অসাধ্য সাধন করা যায়। সেটা কিন্তু আজকের বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে।’
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয়ে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে এপিএ সই করেছে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো।
প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের কাছ থেকে এপিএ গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে এপিএ বাস্তবায়ন ও সেবা প্রদানে অসাধারণ অবদানের জন্য ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জন্য এপিএ পুরস্কার এবং ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য শুদ্ধাচার পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর কর্মকর্তাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা তাদের অধীনস্থ দপ্তরগুলোর সঙ্গে এপিএ সইয়ের মাধ্যমে জবাবদিহি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আপনারা (মন্ত্রণালয়গুলো) আপনাদের অন্যান্য অফিসের সঙ্গে এপিএ সই করবেন, যাতে তৃণমূল পর্যন্ত (সরকারি অফিসে) যোগাযোগ ও জবাবদিহি নিশ্চিত হয়। এভাবে কাজ করতে পারলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা সম্ভব।’
প্রধানমন্ত্রী সরকারের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট ও সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে তাদের পূর্বসুরিদের যোগ্য হিসেবে প্রস্তুত করতে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলা করে সরকার বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারবে।
তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি আসতে পারে মানবসৃষ্ট দুর্যোগ। সব ধরনের দুর্যোগ অতিক্রম করে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হব। আমি তা বিশ্বাস করি।’
খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে এবং এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে খাদ্য ঘাটতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে যাতে অন্যের উপর নির্ভর করতে না হয়।
অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বক্তব্য রাখেন এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।
শুদ্ধাচার পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিত কর্মকার এবং জনপ্রশাসন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীও বক্তব্য দেন।
২০২১-২০২২ সালের এপিএ বাস্তবায়নে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রথম, বিদ্যুৎ বিভাগ দ্বিতীয় ও কৃষি মন্ত্রণালয় তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে।
এপিএ বাস্তবায়নে চতুর্থ থেকে দশম স্থান অর্জনকারী মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো হলো অর্থ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (আইসিটি), বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি), জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
কমতে শুরু করেছে কুড়িগ্রামের নদীর পানি, ভাঙন আতঙ্কে মানুষ
দিনাজপুরে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় নিহত ২