দূষণমুক্ত নদীর দাবিতে রবিবার বিশ্ব পরিবেশ দিবসে ‘বুড়িগঙ্গায় গণগোসল’ নামে একটি ব্যতিক্রম ধরনের প্রতিবাদী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
জেসিআই ঢাকা নর্থ, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টার এর আয়োজনে এতে অংশ নেন নদীপাড়ের মানুষ, পরিবেশকর্মী, গবেষক, শিক্ষক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও যুব নেতারা।
মোহাম্মদপুরের বসিলা ব্রিজের নিচের খেয়াঘাটে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে সকাল সাড়ে ১০টায় বুড়িগঙ্গাকে বাঁচাতে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনার আয়োজন করে আয়োজকরা। এরপর বুড়িগঙ্গায় গণগোসলে অংশ নেন অংশগ্রহণকারীরা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে আয়োজনের একটি সংক্ষিপ্ত ধারণা দেন ‘বুড়িগঙ্গায় গণগোসল’-এর সমন্বয়ক মো. শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বুড়িগঙ্গা নদী ঢাকা শহরের ত্রাণকর্তা। এই নদীর তীরে ৫২ লাখেরও বেশি মানুষ বাস করে, যারা দূষণে জর্জরিত পানির কারণে অর্থনৈতিক, শারীরিকসহ নানা সমস্যায় পড়ছেন। ভিন্নধর্মী এই আয়োজনে মধ্য দিয়ে আমরা বুড়িগঙ্গার দূষণ রোধ ও এই নদীর পানি গোসলের উপযোগী করতে সবাইকে উৎসাহিত করতে চাই।’
বাপা’র সাধারণ সম্পাদক ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ-এর সমন্বয়ক শরীফ জামিল বলেন, ‘ঢাকা শহরের উন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ নেয়া হলেও বুড়িগঙ্গাকে ঘিরে পরিকল্পিত ও বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। শহরের যতই উন্নয়ন হয়েছে, ততই বুড়িগঙ্গার অবস্থা খারাপ হয়েছে। ফলে নদী তার সৌন্দর্য হারিয়ে এখন দূষণে জর্জরিত। বুড়িগঙ্গাকে বাঁচাতে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’
বুড়িগঙ্গাকে বাঁচানোর গুরুত্ব তুলে ধরে রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘কল-কারখানার রাসায়নিক বর্জ্য, গৃহস্থালির বর্জ্য, চিকিৎসা বর্জ্য, পয়োনিষ্কাশন, মৃত প্রাণী, প্লাস্টিক ও তেল বুড়িগঙ্গাকে প্রতিনিয়তই দূষণ করে যাচ্ছে, নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। বুড়িগঙ্গা নদী কার্যত প্রাণহীন হয়ে পড়েছে। ঢাকাকে বাঁচানের জন্যই বুড়িগঙ্গাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।’
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি