November 17, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, August 16th, 2022, 9:36 pm

দেশজুড়ে বিপুলসংখ্যক অবৈধ মানি চেঞ্জার ব্যবসা চালাচ্ছে

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেশজুড়ে বিপুলসংখ্যক অবৈধ মানি চেঞ্জার ব্যবসা চালাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে নিয়োজিত ২৩৫টি মানি চেঞ্জারকে লাইসেন্স দিয়েছে। কিন্তু বর্তমানে বৈধ-অবৈধ মিলে ৭৪২টি মানি চেঞ্জার কার্যক্রম চালাচ্ছে। ওই হিসাবে ৫ শতাধিক মানি চেব্ধারই অবৈধ। আর ওই অবৈধ মানি চেঞ্জারের ব্যবসা বন্ধ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, যেসব মানি চেঞ্জারের বিরুদ্ধে প্রাথমিক অভিযানে ভুলত্রুটি পাওয়া যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আবার প্রয়োজনে সময় নিয়ে তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যাংক ও মানি চেঞ্জারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে। ডলার কারসাজির অভিযোগে ইতোমধ্যে দেশি-বিদেশি ৬টি ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানকে অপসারণ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্দেশ দিয়েছে। ওই ব্যাংকগুলো হলো ব্র্যাক ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।
সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের কারসাজি রোধে খোলা বাজার ও একচেঞ্জ হাউজগুলোতে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করছে। ইতোমধে/্র কারসাজির অপরাধে ৫টি মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি ৪৫টিকে শোকজ করা হয়েছে। তাছাড়া লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা করায় ৯টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বলা হয়েছে। মূলত আমদানি বেড়ে যাওয়ায়ই হচ্ছে বাজারে ডলার সংকট ও রিজার্ভ কমার অন্যতম কারণ। আমদানির তুলনায় বাংলাদেশের রপ্তানি অনেক কম। তাই আমদানি-রপ্তানির মধ্যে শূন্যস্থান পূরণ করতে হলে রপ্তানি বৃদ্ধির বিকল্প নেই। বাজার স্বাভাবিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়মিত রিজার্ভ থেকে ডলার সরবরাহ করে যাচ্ছে।
এদিকে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, দেশের ভেতর ডলার আসার তুলনায় যাচ্ছে বেশি। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিদেশে যাওয়ার সময় ক্যাশ ডলার বহনে নিরুৎসাহিত করেছে। চিকিৎসা, শিক্ষা বা ভ্রমণ থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই ডলারের আউটফ্লো বেড়েছে। কিন্তু নানা সীমাবদ্ধতার কারণে ওই পরিমাণ ডলার দেশে আসছে না। ওই কারণেই হু হু করে বাড়ছে খোলা বাজারে ডলারের মূল্য।