March 29, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, June 2nd, 2023, 8:20 pm

দেশের মঞ্চে ‘অ্যা মাদার ইন ম্যানভিল’

অনলাইন ডেস্ক :

গল্পটি ছোটবেলায় পাঠ্যবইয়ে অনেকেরই পড়া, যাতে প্রেম, ত্যাগ এবং সামাজিক সম্পর্কের গুরুত্বের অনুসন্ধান করেছেন মার্কিন লেখিকা মার্জোরি কিনান রাওলিংস। এবার সেই গল্পটি উঠে আসছে বাংলাদেশের মঞ্চে। সেই গল্পের আলোকে প্রাচ্যনাট তাদের নতুন ইন-হাউজ নাটক ‘অ্যা মাদার ইন ম্যানভিল’ নিয়ে আসছে আজ শনিবার। শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে নাটকটির এদিন দুটি প্রদর্শনী হবে সন্ধ্যা ৬টা এবং ৭টা ৩০ মিনিটে। এমনটাই নিশ্চিত করেছেন দলটির অন্যতম সদস্য প্রজেনজিৎ রায়। এর নাট্যরূপ দিয়েছেন মো. শওকত হোসেন সজিব এবং রূপান্তর ও নির্দেশনায় আছেন ফরহাদ হামিদ। গল্পটি অনেকের পড়া থাকলেও যারা ভুলতে বসেছেন, তাদের জন্য বলা- এটি আবর্তিত হয়েছে একজন লেখিকা ও ১২ বছর বয়সী এক এতিম ছেলে জেরিকে ঘিরে।

লেখিকা তার জীবনী লিখতে কয়েক দিনের জন্য শহর থেকে দূরে ক্যারোলিনা পাহাড়ের একেবারে চূড়ায় অবস্থিত এতিমখানার গেস্ট হাউসে যান তার পোষ্য কুকুর নিয়ে। জেরিকে এতিমখানা প্রধান মিস ক্লার্ক নিযুক্ত করে আগুনের চুল্লির জন্য কাঠ কাটতে, যাতে লেখিকার ঘর উত্তপ্ত থাকে। সেখানে পরিচয় ঘটে জেরি ও লেখিকার। গল্প যত এগোতে থাকে ততো দেখা যায় চরিত্র দুটি কাছাকাছি আসছে। পাশাপাশি জেরির সাথে লেখিকার পোষ্য কুকুরের সখ্যতা হয়ে যায়। একদিকে এতিম জেরির একাকিত্ব বোধ এবং মায়ের ভালোবাসা পাওয়ার আকুলতা তার কল্পনায় বিভিন্ন গল্প তৈরি করে। অন্যদিকে লেখিকা তার ব্যথিত অতীত ভুলে নতুন জীবন শুরু করার চেষ্টা করছেন যা তার জীবনী লেখার মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায়। নাটকটির একপর্যায়ে লেখিকা এবং জেরির মধ্যে একটি নতুন সংযোগের সন্ধান ঘটে।

এমন হৃদয়স্পর্শী গল্পে ৫৫ মিনিট ব্যাপ্তির এই নাটকটিতে অভিনয় করেছেন ডায়না ম্যারেলিন চৌধুরী, শ্রেয়ান ওয়াদি, আহমাদ সাকি, ফয়সাল ইবনে মিজান রাতুল, অদ্রী জা আমিন, নাহিদা আক্তার আঁখি, চন্দ্রবিন্দু তোতা, স্বাতী ভদ্র, তানজি কুন ও সুপ্তি দাস চৈতি। নাটকটির সেট ডিজাইন করেছেন ফয়সাল ইবনে মিজান রাতুল, লাইট ডিজাইন করেছেন নাহিদা আক্তার আঁখি, মিউজিক করেছেন এবি সিদ্দিকি, প্রপস তৈরি করেছেন তানজি কুন ও স্বাতী ভদ্র, পোশাক ডিজাইন করেছেন জেসমিন জাহান ঝুমা, কোরিওগ্রাফি করেছেন ডায়না ম্যারেলিন চৌধুরী ও পাপেট নির্মাণ করেছেন চন্দ্রবিন্দু তোতা। প্রজেনজিৎ রায় বলেন, ‘প্রাচ্যনাট ইন-হাউজ একটি মহড়া কক্ষ ভিত্তিক নাট্যশীলন প্রক্রিয়া, যেখানে দলের সদস্যরা নিরীক্ষাধর্মী কাজ করে থাকেন। এই নাটকটিও তারই একটি অংশ।’