অনলাইন ডেস্ক :
সকালে দেশে পা রেখে দুপুরে অনুশীলনে সাকিব আল হাসানকে পাওয়া নিয়ে সংশয় খানিকটা ছিল বটে। তবে সোমবার দুপুরে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ঠিকই দেখা গেল অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডারকে। স্কোয়াডের যে কোনো ক্রিকেটারের দলের সঙ্গে অনুশীলন করা এমনিতে খুব স্বাভাবিক ঘটনা। তবে গত কয়েক দিনের ঘটনাপ্রবাহের কারণে সাকিবের অনুশীলনে যোগ দেওয়াও এখন দেশের ক্রিকেটের কৌতূহলের ব্যাপার। জরুরি পারিবারিক প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ায় প্রথম দিন থেকে জাতীয় দলের সঙ্গে অনুশীলন করতে পারেননি সাকিব। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পরিস্থিতি না এলে সাকিব ব্যস্ত থাকতেন পাকিস্তান সুপার লিগে। তাকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত এমনিতেও পেত না বাংলাদেশ দল। ছুটি শেষ করে সোমবার সকালে ঢাকায় আসেন জাতীয় দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। দুপুর ২টার আগেই দলের সঙ্গে অনুশীলন করতে চলে আসেন তিনি শের-ই বাংলায়। মাঠে ঢুকে কিছুক্ষণ ফুটবল নিয়ে নাড়াচাড়া করেন সাকিব। পরে মেহেদী হাসান মিরাজকে আইসিসি বর্ষসেরা ওয়ানডে দলের বিশেষ ক্যাপ তুলে দেন রঙ্গনা হেরাথ। কাছে গিয়ে মিরাজকে অভিবাদন জানান সাকিব। এরপর বাকিদের সঙ্গে গা গরমের জন্য কিছুক্ষণ রানিং করেন তিনি। গত কয়েকদিনে শুরুতে ফিল্ডিং অনুশীলন করতে দেখা গেছে বাংলাদেশ দলকে। তবে সোমবার রানিংয়ের পর সবাই ব্যাটিংয়ের জন্য চলে যান ইনডোরে। সাকিবও ব্যাট হাতে নেমে পড়েন নেটে। প্রথমে কিছুক্ষণ পেসারদের বল খেলে পরে থ্রো ডাউনে ব্যাটিং করেন সাকিব। সাকিবের মাঠে ঢোকা থেকে শুরু করে প্রতিটি পদক্ষেপেই ছিল অনেক ক্যামেরার নজর। কখন কী করছেন, কার সঙ্গে কথা বলছেন, কাকে কী ইশারা দিচ্ছেন সবকিছুই বন্দী হয়েছে ক্যামেরায়। এমনিতেও অবশ্য আগ্রহের কেন্দ্রে থাকেন তিনিই। এবার আরও বেশি কৌতূহলের কারণটাও অনুমেয়। সম্প্রতি ক্রিকেটওয়েবসাইট ক্রিকবাজ-এ দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, সাকিব ও তামিম ইকবালের সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। যা বোর্ডের পক্ষ থেকে চেষ্টা করেও মিটমাট করা সম্ভব হয়নি। পরে রোববার সংবাদ সম্মেলনে তামিম এটা নিয়ে অনেক প্রশ্নের জবাব দেন খোলামেলা আলোচনায়। তার কথার মূল সুর ছিল, মাঠের ভেতরে তারা দুজনই পেশাদার। মাঠের বাইরের কিছুতে পাত্তা দিতে চান না তিনি। সাকিবের কাছ থেকে এখনও এ ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। অনুশীলনের শুরু থেকে সাকিবের না থাকা নিয়েও প্রশ্ন ছিল তামিমের কাছে। সেখানে তিনি সতীর্থের পাশেই দাঁড়ান। “অবশ্যই পুরো স্কোয়াড একসঙ্গে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমি নানা সাক্ষাৎকার-সংবাদ সম্মেলনে বলেছি, পরিবারের যদি কারও কিছু হয়, সেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ক্রিকেট বলেন বা পেশা, এই সবকিছুর ওপরে পরিবার, আমার মতে। ক্রিকেট আমাদের পেশা, আমরা সবাই পেশাদার, সব ঠিক আছে। আপনারা যেখানে আছেন, নিজেদের পেশায় কাজ করেন। কিন্তু ব্যাপারটি যখন পরিবারের, দ্বিতীয় কোনো বিকল্প নেই।” “আমি ঠিক নিশ্চিত নই ওর (সাকিব) পরিবারের কার কী হয়েছে। তবে পারিবারিক একটি ইস্যু আছে, সে পরিবারের সঙ্গে আছে এবং আমরা তাকে শতভাগ সমর্থন করি।” বিপিএলের এলিমিনেটর থেকে বিদায়ের পর গত ১৩ ফেব্রুয়ারি পিএসএল খেলতে পাকিস্তানে যান সাকিব। পেশাওয়ার জালমির হয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত খেলার কথা ছিল তার। এ সময়ের মধ্যে ৫টি ম্যাচ পেতেন বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার। পেশাওয়ারের হয়ে প্রথম ম্যাচে মাঠে নামেন তিনি। সেদিন ৩ ওভারে ৩২ রান খরচ করেন। বাদ পড়ে যান পরের ম্যাচের একাদশ থেকে। এরপর পরিবারের জরুরি প্রয়োজনে পিএসএল ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্র চলে যেতে হয় তাকে।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা