April 25, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, October 7th, 2022, 7:34 pm

দেড়যুগ স্পর্শ করলো মোশাররফ করিম-জুঁই

অনলাইন ডেস্ক :

মোশাররফ করিমের ছাত্রী ছিলেন জুঁই। ছাত্রী থেকে হয়ে গেছেন ঘরনী। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) দেড়যুগ স্পর্শ করলো এই দম্পতির। কোচিংয়ের শিক্ষক থেকে মোশারর করিম এখন খ্যাতনামা অভিনেতা। আর জুঁই অভিনয় করছেন নিজস্ব ভঙ্গিমায়। এ দম্পতির বিয়ের গল্পটা বেশ মজার। নির্দ্বিধায় এই গল্প বলেন রোবেনা জুঁই। মোশাররফ করিম বন্ধুর সঙ্গে একটা কোচিং সেন্টার পরিচালনা করতেন, পড়াতেনও। তখন জুঁই দশম শ্রেণিতে পড়েন। প্রি-টেস্ট পরীক্ষার আগে অথবা পরে আমি সেই কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়েছিলেন। মোশাররফ করিমের কাছে বাংলা সাহিত্য এবং ইংরেজি গ্রামার পড়তেন। এরপর এইচএসসি এল। তখনও ওই কোচিং সেন্টারেই ভর্তি হলেন। এইচএসসি শেষ করে জুঁইও সেখানে পড়াতে শুরু করলেন। প্রথমে বন্ধুত্বপূর্ণ একটা সম্পর্ক ছিল। শিক্ষক হিসেবে যোগ দেয়ার এক বছর পর থেকে মূলত ভালো লাগার আদান-প্রদান শুরু হয়। তবে বিয়েটা সহজ ছিল না। বিষয়টি নিয়ে জুঁই গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, আমাদের সম্পর্ক বিয়ে পর্যন্ত গড়াতে কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। ওর পরিবার থেকে তেমন সমস্যা ছিল না। কারণ মোশাররফ এমনিতেই উদাসীন মানুষ। সে সংসার করবে এটা তার পরিবার ভাবতেই পারেনি! তিনি বলেন, যখন সেই ছেলে মেয়ে পছন্দ করেছে তখন পরিবার থেকে আর বাধা আসেনি। ওদিকে আমি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি। আমার পরিবারের সুপ্ত ইচ্ছে ছিল- পড়াশোনা শেষ করে উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে পাঠাবে। কিন্তু তৃতীয় বর্ষে পড়াকালীন বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলাম। আমার এই সিদ্ধান্ত পরিবারকে খুব হতাশ করেছিল। এ ছাড়া কালচারাল কিছু গ্যাপ ছিল। আমার বাড়ি জামালপুর। মোশাররফ করিমের বাড়ি বরিশাল। সবকিছু মিলিয়ে প্রতিবন্ধকতা ছিল। শেষ পর্যন্ত ১৮ বছর আগের এমন এক অক্টোবরে দুজনে একই ছাদের নিচে এসেছিলেন। বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে মোশাররফ করিম-জুঁই বেরিয়ে পড়েন ঘুরতে। নতুন কোনো জায়গায় পালন করেন বিবাহবার্ষিকী। এবার অবশ্য ঢাকাতেই রয়েছেন এই দম্পতি। বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে রোবেনা রেজা জুঁই ফেসবুকে দুটি ছবি পোস্ট করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে তাঁদের বিশেষ দিন পালনের আয়োজন। ছবির সঙ্গে লিখেছেন, এমনি করেই যায় যদি দিন যাক না। শুভ বিবাহ বার্ষিকী মোশাররফ করিম। দেড় যুগ পূর্তি জন্য অভিনন্দন।