পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের অবিরাম বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার দ্বিতীয় দফা বন্যার কবলে পড়েছে। নতুন করে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সুরমা, লক্ষ্মীপুর, বগুলা, বাংলাবাজার, নরসিংপুর ও দোয়ারা সদর ইউনিয়নের হাজারো মানুষ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, নিম্নাঞ্চলের অধিকাংশ বাড়িঘরের আঙিনা ও রাস্তাঘাট থেকে প্রথম দফা বন্যার পানি এখনো সরেনি। সেই রেশে নদীনালা, খালবিল, হাওর-বাওর, মাঠঘাট পানিতে একাকার হয়ে আছে। অনেকের স্যানিটেশন ও টিউবওয়েল ডুবে পেটের পীড়া, চর্মরোগ ও পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের উপসর্গ এখনও পুরোদমে নির্মুল হয়নি। প্রথম দফার বন্যাতে উপজেলা সদরের সঙ্গে সুরমা, বগুলা ও লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন। এ ছাড়া আউশ ফসল, আমনের বীজতলা ও সবজি খেতসহ অধিকাংশ মাছের পুকুর তলিয়ে যাওয়ায় কোটি টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাজারো পরিবার। তবুও এক বুক আশা নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে ভুক্তভোগী কৃষি ও মৎস্যজীবী পরিবারগুলো। সাহস করে পুকুরে আবারও মাছের পোনা ছাড়েন, তড়িঘড়ি করে বীজতলায় বীজ বুনেন। কিন্তু বিধি বাম! প্রথম দফা বন্যার রেশ না কাটতে না কাটতে দ্বিতীয় দফা বন্যার অশনি সংকেতে আবারও চোখে সর্ষেফুল দেখছেন তারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দোয়ারাবাজারে সুরমাসহ উপজেলার অধিকাংশ নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় হু হু করে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নাঞ্চলসহ উপজেলার বিভিন্ন রাস্তাঘাট ও বাড়িঘরে আবারও পানি থৈ থৈ করছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা প্রিয়াংকা বলেন, সুরমাসহ উপজেলার বিভিন্ন নদীনালা, হাওড় ও খালবিলের পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বন্যার আশঙ্কা বিদ্যমান।
তিনি জানান, এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়াও বন্যা মোকাবিলায় আমাদের সার্বক্ষণিক মনিটরিংসহ কন্ট্রোলরুম খোলা আছে। উপজেলা প্রশাসনসহ আমাদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও এ বিষয়ে তৎপর রয়েছেন। পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রীও মজুদ রয়েছে।
—ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি